বোধ করি বাংলাদেশে ৩৮টির মত চ্যানেল আছে। এরমধ্যে বিটিভিরই আছে ০৪/০৫টা। বাকী গুলোর মধ্যে বিনোদন চ্যানেল আছে ১২/১৫টি, নিউজের আছে ১০/১২ টি। খেলার জন্য একটি , বাচ্চাদের জন্য -০১টি আর বাকী গুলোর কোন বৈশিষ্ট্য নেই। জগা খিচুড়ি ধরনের।
সকাল সন্ধ্যার রজনী গন্ধা ছবি চালায় -মাঝে মাঝে খবর মাঝে মাঝে নাটক মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন।
তবে কম বেশ সব চ্যানেলেই খবর প্রচার করে। নিজস্ব না থাকলেও বিটিভির খবর রিলে করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এসব চ্যানেলের মালিক কারা -কি ধরনের সংবাদ বা অনুষ্ঠান এরা প্রচার করে। এগুলোর গ্রহণ যোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা কতটুকু। এটার উত্তর খুব সোজা।
সরকার দলীয় লোকজন ছাড়া নতুন -চ্যানেলের অনুমোদন পাওয়া বিরল। আর যারা পূর্ব থেকেই চ্যানেলের অনুমোদন পেয়ে আসছে -তাদের বেলায় ব্যাপারটা একটু ভিন্ন , খবর এবং টকশো প্রচার করতে হয় -সতর্কতার সহিত। তাল মিলাতে হয় সরকারের সুরে সুরে ,নইলে ----।
খবর নিয়ে দেখেন বেশির চ্যানেলের মালিকই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে জড়িত। । সুতরাং যারা সরকার দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং দলীয় পোস্টে আছেন -তাদের চ্যানেল থেকে নিরপেক্ষ খবর প্রচার করবে কিংবা দলের ক্ষতি হয় এমন খবর প্রচার করবে এটা ভাবাই দুঃসাধ্য ব্যাপার বটে। ঘাড়ে তার কম করে হলেও চারটা মাথা থাকতে হবে -নতুবা -সম্প্রচার নীতির আওতায় ---। বলা বাহুল্য চ্যানেলের অনুমোদনের আগে -এ কলেমা পড়িয়ে দেয়া হয়।
পত্রিকার বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। সুতরাং চ্যানেলের মালিক ,পত্রিকার সম্পাদক ,আইনজীবী -শিক্ষক -এদের পক্ষে নিরপেক্ষ থাকা -সত্যবাদী উকিল খুঁজার মত কিংবা বিবাহিত কুমারী মেয়ের মত।
তাহলে প্রশ্ন আসে -নিরপেক্ষ খবর আমরা পাব কোথা থেকে --এর উত্তর হলো বিবেক। কারন ভেজাল খাবারের মাঝে কিছু নির্ভেজাল খাবার থাকে বলে আমরা বেঁচে আছি। তেমনি ঘটনার আড়ালে কিছু সত্য লুকিয়ে থাকে -কেউ সেটা ইডিট করে প্রচার করে -কেউ সেটা নিজস্ব মতামত দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করে কিন্তু বিবেক থাকলে সত্যটা উপলব্দি করতে বেশি বেগ পেতে হয়না।

0 মন্তব্যসমূহ