এক্সপ্রেসওয়ে খালি -অথচ পুরো রাস্তায় জ্যাম। তাহলে এক্সপ্রেস ওয়ের সুবিধা ভোগ করবে কে ?

প্রতি কিলোতে এক্সপ্রেসওয়েতে খরছ হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা তারপরও জ্যাম কমছে না। গাড়ী উপর দিয়ে না গিয়ে চলছে নীচ দিয়ে। ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকতে হচ্ছে আগের মতই। তাহলে এলিভেটর এক্সপ্রেসের সুবিধা ভোগ করছে কারা ?

এক কথায় এটার বেশির ভাগ সুবিধা পাবেই বড় লোকরাই। কারণ বর্তমানে কোন বাসই আর ডাইরেক্ট নেই।তাই তারা প্রতি ষ্টেশনে যাত্রী উঠানামা করে। সেজন্য তারা এক্সপ্রেস ওয়ে ব্যবহার করবে না এটাই স্বাভাবিক। তাদের কাছে সময়ের চেয়ে টাকার মূল্যটাই বেশি।
আসলে জ্যাম দূর করার জন্য সরকার ফ্লাই ওভার এলিভেটর এক্সপ্রেস -মেট্রোরেল থেকে শুরু করে কত কিছুইতো করছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা । কারন প্রতিনিয়ত রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ী নামছে। একটি প্রাইভেট গাড়িতে চড়ে এক কিংবা দুইজন।। অথচ একটি বাসে লোক যায় 30 থেকে 40 জন।সে হিসাবে মাসে যদি ১০টি লোকাল পরিবহন নামে -প্রাইভেট নামে ১০০ এর উপরে।
যতদিন পর্যন্ত এদেশের ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী আনা বন্ধ না হবে, একই পরিবারের একাধিক গাড়ীর ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হবে ততদিন পর্যন্ত রাস্তার জ্যাম কমবে না।।
কারণ প্রতিদিনই এবং প্রতি মাসে রাস্তায় নতুন নতুন গাড়ি নামে কিন্তু কমে না।।ঢাকায় সিএনজির সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছে -কিন্তু ভিআইপিদের গাড়ী এবং প্রাইভেট কারের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। রাস্তায় নামলে দেখবেন শতকরা ৮০%ই প্রাইভেট গাড়ী এবং ঢাকা শহরের জ্যামের অন্যতম কারন হচ্ছে এটাই। প্রাইভেট গাড়ী আমদানী কমিয়ে দেন দেখবেন যা রাস্তা ফ্লাইওভার ,এলিভেটর আছে তাতেই জ্যাম দূর হয়ে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ