ইসলামী রীতি অনুযায়ী মুহরিম তথা ১৪ জনকে বিবাহ করা হারাম।

 


মুসলমানদের বিয়ের রীতি নীতি এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের  বিয়ের রীতি সম্পূর্ণ আলাদা। বিশেষ করে মুসলমানদের বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক .সাক্ষী এবং বর কনের সম্মতি অত্যাবশ্যক।

 সাধারণত মুসলিম রীতিতে বিয়ে পড়ান কাজী কিংবা মসজিদের ইমাম। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আদালতেও বিয়ের কাজ হয়ে থাকে। সেটা অবশ্য অভিভাবকদের সম্মতি ব্যতীত।

ইহুদী ও খৃষ্ট ধর্মে বিবাহ পড়ান -পাদ্রী বা ধর্ম যাজকরা। হিন্দু ধর্মে পুরো-হিত। বৌদ্ধ ধর্মে ভিক্ষু বা সাধু।

মুসলিম ধর্মে বিবাহ পূর্ব ছেলে মেয়েদের সম্পর্ক বা মেলামেশা হারাম। অন্যান্য ধর্মে সেটা শুধু বৈধ নয় -তারা বিবাহ পূর্ব সংসারও করে থাকে।

সে যাইহোক ইসলামকে বলা হয় শান্তির ধর্ম এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। তাই ইসলাম নারীদের অধিকার সহ নারীদের সম্মানের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশাবলী আরোপ করেছেন। পবিত্র কোরানে এ সম্পর্কে সুরা নেসা নামে একটি সুরাও আছে। যেখানে নারীদের বিবাহ,পৈত্রিক সম্পত্তি,স্বামীর সঙ্গে তার অধিকার ,সন্তান লালন পালন ,পিতা মাতা ভাইবোনদের সাথে তার আচরণ সবকিছু বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়া ১৪ ব্যক্তিকে মুহরিম হিসাবে বর্ণনা করেছেন। 

এ মুহরিমকে যেমন বিবাহ করা হারাম তেমনি এদের ছাড়া অন্য পুরুষদের সাথে দেখা করাও হারাম হিসাবে ঘোষণা করেছেন। এ সম্পর্কে সুরা নিসাতে বলা হয়েছে -তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমা, দুধবোন, শাশুড়ি ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সঙ্গে সংগত হয়েছ তার আগের স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত মেয়ে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্ব আছে, তবে যদি তাদের সঙ্গে সংগত না হয়ে থাক, তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ নেই। আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত ছেলের স্ত্রী ও দুই বোনকে একত্র করা, আগে যা হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নিসা: ২৩)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ