পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ০৬টি ফল এবং তাদের উপকারীতা।

 

ফল খান না এ ধরনের মানুষের সংখ্যা খুবই কম।ক্ষুধা নিবারণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্ন জিনিষ খায় কিন্তু ফল ,পানি ,দুধ ,মধু ও খেজুর সব দেশের লোকেরাই খায়। 

আমাদের দেশে কত রকম ফল আছে বলা হয়তো সহজ -কিন্তু ঢাকার পল্টন/বনানী/গুলশান/উত্তরাতে ফলের দোকানে গেলে একটু হলেও বুঝা যায় পৃথিবীতে কত রকমের ফল আল্লাহ প্রাণীদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে এমন এমন সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল রয়েছে যেগুলোর নাম বাংলাদেশের মানুষ জানেওনা।  পবিত্র কোরআনে একাধিক স্থানে বেহেস্ত-বাসীদের জন্য ফলের কথা উল্লেখ করেছেন -যার মধ্যে খেজুর ,আঙ্গুর ,ত্বীন-জয়তুন. ডুমুর ,কলা এবং পানীয় হিসাবে মধু ও দুধ অন্যতম। 

সুরা ইয়াসিনে বলা হয়েছে ‘সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফলমূল এবং যা চাইবে (তা-ই পাবে)’ ( আয়াত : ৫৭)।

সুরা মারিয়ামের ২৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মরিয়ম (আ.)-কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আর তুমি নিজের দিকে খেজুর-গাছের কাণ্ড নাড়া দাও। তা থেকে তোমার ওপর সুপক্ব খেজুর পতিত হবে। 

খেজুরের রয়েছে বহুমুখী উপকারিতা।’ যেমন—১. খেজুর মানসিক চাপ কমায়।২. খাদ্যে অরুচি দূর করে। ৩. কফ, সর্দি-কাশি উপশম করে। ৪. বদহজম দূরীভূত করে। ৫. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। ৬. তারুণ্য ও যৌবন ধরে রাখে। মুসলমানরা সাধারণত ইফতারিতে খেজুর খায় কিন্তু যারা জানে এবং বুঝে তারা ১২ মাসই খেজুর খাবার চেষ্টা করে। 

ডালিম/আনার : সুরা আর-রহমানের ৬৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তথায় রয়েছে ফলমূল, খেজুর ও আনার।’ অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘...খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে। এবং আঙুরের বাগান, জয়তুন ও আনার। সাদৃশ্যপূর্ণ ও সাদৃশ্যহীন...।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৯৯)

ডালিমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন—১. হৃদরোগের  ঝুঁকি কমায়। ২. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৩. ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। ৪. ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ৫. হজমে সহায়তা করে। ৬. নারীদের ডেলিভারি সহজ করে ।

আঙ্গুর /আনার :- সুরা আবাসার ২৭ ও ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি উৎপন্ন করি শস্য, আঙুর ও শাকসবজি।

আঙুরের উপকারিতা হলো—১. ক্যান্সার নিরাময় করে। ২. ত্বক সুরক্ষিত করে। ৩. কিডনি ভালো রাখে। ৪. নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনে সহযোগিতা করে। ৫. বদহজম দূর করে। ৬. অ্যাজমা প্রতিরোধ করে। ৭. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।

 সুরা তিনের শুরুতেই মহান আল্লাহ ডুমুরের নামে শপথ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শপথ ডুমুর ও জয়তুনের।’ (সুরা : তিন, আয়াত : ১)

সুরা ওয়াকিয়ার ২৭-২৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান। তারা থাকবে কাঁটা-বিহীন কুল বৃক্ষে। এবং কাঁদি কাঁদি কলায়।’