এখন দেশের প্রায় প্রতিটি চ্যানেলেই বিদেশি সিরিয়াল দেখায়।এসব সিরিয়ালের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বোদ্ধারা আন্দোলন করেও ব্যর্থ হয়েছেন।এর কারণ একদিকে যেমন এসব সিরিয়ালের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থা গুলো টাকা বিনিয়োগ করছে অন্যদিকে দর্শকও এসব সিরিয়াল উৎসুক হয়ে দেখছে । এর কারণ কি?
জবাব স্পষ্ট, এগুলো পরিবার পরিজন নিয়ে দেখার মত । এসব সিরিয়ালের খুন নেই ধর্ষণ নেই। মানুষকে হত্যার লোমহর্ষক দৃশ্য নেই।। বিভিন্ন কৌশলে এবং অ্যাঙ্গেলে নারী নির্যাতন কিংবা নিপীড়নের দৃশ্য নেই।তাই ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত এসব সিরিয়াল টিভি দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। সঙ্গত কারনে আমাদের দেশের ভাড়ামির নাটক এবং অবাস্তব কল্প কাহিনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা থেকে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
যদি প্রশ্ন করি আমাদের চলচ্চিত্র সিনেমা নাটক ওয়েব ফিল্ম এগুলো দেখে যুব-সমাজ কি শিক্ষা পাচ্ছে?এগুলো কি পরিবার নিয়ে দেখার মত হচ্ছে? মানুষের নৈতিক কিংবা চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে? সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা কিংবা মুল্যবোধ তৈরিতে কোন অবদান রাখতে পারছে ? এর উত্তর হবে, না।
বস্তুত হত্যা ধর্ষণ চুরি ডাকাতি ছিনতাই ব্যাংক লুট এসিড নিক্ষেপ, কিডন্যাপ শেখার অন্যতম মাধ্যম হয়ে গেছে আমাদের সিনেমা আর নাটক হয়ে গেছে সুড়সুড়ি দিয়ে হাসানোর অন্যতম বিনোদন ।। যার ফলে আমরা আইন করে পুলিশ দিয়ে সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা এবং নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে পারছি না।।
আমাদের সিনেমা দেখে কয়জন যুবক চারিত্রিক উন্নতি লাভ করতে পেরেছে, স্বাবলম্বী হয়েছে. বেকারত্ব দূর করেছে, নেশার জগত থেকে ফিরে এসেছে কিংবা চুরি ডাকাতি ছেড়ে দিয়েছে, আইনের প্রতি তার শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে কিম্বা ব্যক্তি চরিত্রের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে ?
আসলে নাটক সিনেমা কিংবা সংস্কৃতি হবার কথা ছিল বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম এবং সামাজিক দর্পণ। সেটা না হয়ে হয়ে গেছে সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ।
0 মন্তব্যসমূহ