জেয়ারতের উদ্দেশ্যে তিনটি মসজিদ ছাড়া কোন মাজার ,রওজা ,দরগা, ওরস কিংবা পীর সাহেবের মাহফিলের উদ্দেশ্যে গমন করার মধ্যে কোন ফজিলত নেই। কোরান হাদিসে এ ধরনের কোন দলীল নেই।
যারা জাহাজ ভাড়া করে -গাড়ী ভাড়া করে -ট্রেন ভাড়া করে -বাস ট্রাক কিংবা এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পীরের রওজায় কিংবা মাজার জিয়ারতে উদ্দেশ্যে যান -তারা নিজ দায়িত্বে যাবেন। এটাকে ধর্মীয় লেবাস দেয়া বেদআত।
আমাদের দেশে বহু পীর ভক্ত আছেন তারা -তাদের পীরের দরবারে নগদ অর্থ- উট ,দুম্বা গরু ছাগল ভেড়া-হরিণ -খাসী কিংবা মহিষ উপহার পাঠান এটার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই । তবে ফকির মিসকিন কিংবা ফি সাবিলিল্লাহ হলে ভিন্ন কথা।
একাধিক হাদিসের বর্ণনা মতে জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বা নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে তিনটি মসজিদে যাওয়ার মধ্যে ফজিলত আছে - এ গুলো হলো-
১.বায়তুল মুক্কাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা:- ফিলিস্তিনে অবস্থিত বর্তমানে ইসরাইল জোর করে এ মসজিদ দখল করে রেখেছে। এটা ইহুদি খৃষ্টান এবং মুসলমানদের কাছে সমান ভাবে পবিত্র কারণ পৃথিবীতে যত নবী আসছেন বেশির ভাগ নবীই এ মসজিদকে ঘিরেই তাদের ধর্ম প্রচার করতেন। এবং এটিকে কেবলা করে নামাজ আদায় করতেন। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলমানদের কেবলা ছিল বায়তুল মোকাদ্দাস। কেয়ামতের পূর্বে এ মসজিদেই ইমাম মাহদী নামাজ পড়াবেন। নবী সঃ বলেছেন -এখানে নামাজ পড়লে প্রতি রাকাতে ৭০ হাজার রাকাতের সাওয়াব।
২.হেরেম শরীফ বা কাবা। ;- মুসলমানদের কেবলা। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন নবী রসুলের জন্য পুণ্যভূমি ছিল এটি। নবী সঃ বলেছেন -কাবা শরীফে নামাজ পড়লে এক রাকাতে এক লক্ষ রাকাতের সাওয়াব পাওয়া যায়।
৩. মসজিদে নববী বা মসজিদুল আকবর-নবী সঃ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পরে এ মসজিদ নির্মাণ করেন। বর্তমানে এখানে নবী সঃ রওজা মোবারক অবস্থিত। হজ্জের শর্তাবলীর মধ্যে মসজিদে নবী জিয়ারত করা শর্ত। নবী সঃ এক হাদিসে বলেছেন -এ মসজিদে নামাজ আদায় করলে এক রাকাতে ৫০ হাজার রাকাতের সাওয়াব পাওয়া যায়।
এর বাইরে মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ে সাওয়াবের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পৃথিবীর সব মসজিদের মর্যদা একই রকম। তবে কোন মাজার জেয়ারত,দান খয়রাত কিংবা মানত করলে কোন সাওয়াবের কথা হাদিসে উল্লেখ নাই।
জামাতে সালাত আদায়ের ফজিলত একাকী সালাত আদায় অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি। যদি লোকসংখ্যা বেশি হয়, তাহলে মসজিদে যে পরিমাণ লোক থাকবে ততগুণ বেশি সওয়াব পাবে।
0 মন্তব্যসমূহ