রাজনীতির জন্য -কর্মী ও সমর্থকেরা রক্ত দেয় প্রান দেয় কিন্তু নেতারা দেয়না, তারা বড় জোর জেল খাটে নতুবা দেশান্তরী হন - কারন তারা কর্মীদের টাকা দেয় বক্ত্যব দেয় উস্কানী দেয় রসদ দেয় এটাই তাদের কাজ।এজন্য নেতা হতে গেলে টাকা লাগে। আর দল করতে হলে লাগে শরীর গরম করা রক্ত।
সমর্থক কিংবা কর্মীরা যতই ত্যাগ স্বীকার করুক গলা ফাটাক -তারা কিন্তু এমপি হতে পারেনা মন্ত্রী হতে পারেনা। ফ্রী গাড়ী আমদানী করতে পারেনা। ফ্রি বাসা বাড়ী পায়না। কারন এমপি মারা গেলে তার ভাই -এমপি হয় ,পুত্র এমপি হয় ,স্ত্রী এমপি হয় আর বোকা চোদারা হয়তো জেলে পঁচে নয়তো -মারামারি করে পঙ্গু হয়।
রাজনীতি করে পঙ্গুত্ব বরন করেছে এমন নজির বহু আছে -কিন্তু তাদের পরিবারের দায়িত্ব কোন নেতা নিয়েছে এমন নজির নেই। এজন্য মন্ত্রী এমপিদের ছেলে মেয়েদের আপনি কখনও দেশে লেখা পড়া কিংবা চিকিতসা নিতে দেখবেন না । তারা লেখা পড়া করে -বিদেশে।
তারা জানে দেশে থাকলে লেখাপড়ার বিঘ্ন হবে -রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বে। তাই পড়ালেখা শেষ করে জনগনের ঘাড়ের উপর চেপে বসে। অথচ যিনি দীর্ঘদিন কর্মীদের জন্য বাস ভাড়া করে সমাবেশ স্থলে আনেন। দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন -আহত হলে হাসপাতালে ছুটে যান -আবার কেউ গ্রেফতার হলে উকিল নিয়োগ করেন -তিনি বাহবা পেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। তার ভাগ্যে আর এমপি টিকেট জুটেনা।
জেলা কোটার সভাপতি-সহ সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকরা হেরেযান পরিবার তন্ত্রের কাছে। তাদের ভাগ্যের চাকা আটকে যায় মুল ফটকে। কারন এক আসন থেকে এমপি হয় একজন। ত্যাগী নেতা থাকে কয়েক ডজন তাই তারা আশার বানী শুনতে শুনতে -কবর পর্যন্ত চলে যান।কিন্তু নমিনেশান আর তাদের ভাগ্য জুটেনা।

0 মন্তব্যসমূহ