হাজারো বাবা এভাবে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বয়সের ভারে বাজারে ছুটে যায়। দুটো টাকার জন্য এবং সংসারের বোঝা টানার জন্য ।
কিন্তু বাজারে গিয়েই সে প্রথমে ধাক্কা খায় -মহাজনদের কাছে কিংবা আড়তদারদের কাছে । ন্যায্য মূল্য-তো পায়ই না -উল্টো ১০০ টাকায় এক জোড়া নারিকেল বিক্রি করে বাজারের খাজনা হিসেবে -১০টাকা দিয়ে আসতে হয়। দ্বিতীয় ধাক্কার কোন প্রতিবাদ হয়না -এটার কোন রশিদ হয়না -এটার কোন জবাব দিহিতা করতে হয়না। এটা আমলাতান্ত্রিক একটা শোষন প্রক্রিয়া। গ্রামের বাজারে যারা ডাক (খাজনা ) আনে তারা যে কোন পণ্যের উপর ১০ টাকা হারে খাজনা আদায় করে নেয়। কারণ সেও লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে এ বাজার ডাক আনে।
এখানে বাবাদের প্রতিবাদ করেও কোন লাভ নেই। কেউ শুনবেনা এগিয়ে আসবেনা। এরপর বাবাদের ধাক্কা খেতে হয় বাজার করতে গিয়ে --এক কেজি ডাল ,এক জোড়া হাস কিংবা মুরগী, একটা পেঁপে এক কেজি বেগুন কিংবা চিচিঙ্গা বিক্রি করে যখন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় তখন তাদের বাজেটে ঘাটতি পড়ে যায়। নিজের জন্য এক জোড়া জুতা -স্ত্রী কন্যার ঔষধ , নিত্যদিনের তৈল লবণ -মাছ কিনতে গিয়ে কখনও কখনও চোখের পানি আর হাজারো কষ্ট নিয়ে তারা বাজার ত্যাগ করতে হয়।
অথচ শহরে বসে সন্তানরা ১৫ টাকা দামের চা -১৭ টাকার বেনসনের ধুয়া ছুড়ে -২০ হাজার টাকা দামের মোবাইলে -স্ট্যাটাস দেয় --তোমার জন্য মরতে পারি ----।তখন বাবাদের কষ্ট গুলো ধুলোয় পড়ে থাকে। দীর্ঘ শ্বাসের কষ্ট বাতাসে মিশে যায়।

0 মন্তব্যসমূহ