বৃটিশ ,আমেরিকা, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার বিশ্বব্যাপী দাদাগিরী বন্ধ হবে কবে ? আফ্রিকার দেশ গুলোর দিকে তাকান -ঝরাজীর্ন চেহারার লোকজন ,তাদের রাস্তাঘাট ,বাড়ীঘর,দালান কোঠা এবং জীবন যাপন দেখলেই আপনি সহজে বলে দিতে পারবেন -অর্থনৈতিক ভাবে কতটা বিপর্যস্ত এসব দেশের মানুষ গুলো। ক্ষুদা দারিদ্রতা নিরক্ষতা এবং যুদ্ধবিগ্রহ দিয়ে যাদের বানিয়ে রাখা হয়েছে অনউন্নত বা গরীব রাষ্ট হিসেবে।
কিন্তু কেন তাদের এ দুর্দশা কিংবা দুরবস্তা । শুধুই কি উপজাতীয় কোন্দল নাকি গোলামীর জিঞ্জির পরিয়ে রাখা হয়েছে তাদের পায়ে।অথচ আফ্রিকার প্রতিটি দেশেই খনিজ সম্পদে ভরপুর। হিরা ,সোনা ,তৈল,গ্যাস ,কয়লা ,পাথর,ইউরিনিয়াম সহ বহু মূল্যবান সম্পদে ভরপুর এসব দেশগুলো অথচ এ সম্মদ ভোগ করছে পশ্চিমারা তারা শুধু রয়ে গেচে খনিজ সৈনিক হিসেবে। হলিউডে একাধিক ছবি হয়েচে এসব মানুষদের নিয়ে।
এর কারন দুটো। একটি হলো-দেশে দেশে রাজতন্ত্র কিংবা পশ্চিমা বিশ্বের মদদ পুষ্ট গনতান্ত্রিক পুতুল সরকার। অন্যটি হলো পরাশক্তধর দেশ গুলোর সামরিক উপস্থিতি। বিদ্রোহী দমন ,সন্ত্রাস নির্মূল,আইএস আই এর মোকাবিলা, অর্থনৈতিক মুক্তির অযুহাতে ন্যাটো সহ পরাশক্তিধর দেশগুলো প্রতিটি দেশেই ঘাটি ঘেড়ে বসে আছে। যাদের মধ্যে নাইজেরিয়া ,নাইজার ,ঘানা ,গ্যাবন, চাঁদ ,আইভোরি কোস্ট,বুকিয়া প্যাসো ,আবিদজান ,মৌরতানিয়া অন্যতম।এসব দেশের সামরিক বাহিনীকে যেমন পুর্নাঙ্গ সুযোগ সুবিদা দিতে হয় -তেমনি বিনিময়ে মুল্যবাদ খনিজ সম্পদ লুটে নিচ্ছে সরকারের কাছ থেকে। এদিক থেকে ফ্রান্স সবার শীর্ষে।নাইজারের মানুষ পায় ১০০ ভাগের ১৫% গ্যাস অথচ বাকী গ্যাস রপ্তানী করা হয় ফ্রান্সে। ফ্রান্সের ২ লাখের মত সৈন্য অবস্থান করছে ফ্রান্সে। সে দেশে তাদের সামরিক ঘাটির দৈর্ঘ্য ২৫ স্বকার মাইল।
আফ্রিকার প্রতিটি দেশের দিকে তাকালে দেখবেন -উপজাতীয় কোন্দল কিংবা সরকারের সাথে বিদ্রােহী গোষ্ঠীর বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ লেগেই আছে। আমার প্রশ্ন হলো যাদের দেশের মানুষ ক্ষুধায় মারা যায় তাদের দেশে বিদ্রোহীরা অস্ত্র কেনার টাকা পায় কোথা থেকে ? তাদের এসব সরবরাহ দিচ্ছে কে ?
যে দেশে ফ্রান্সের সৈন্য আছে সেখানে দেখবেন বিদ্রাহীদের হাতে রাশিয়ান অস্ত্র। যে দেশে বৃটেন আছে সেখানে দেখবেন বিদ্রোহীদের হাতে-আমেরিকান অত্যাধুনিক অস্ত্র। আবার যে দেশে আমেরিকা আছে সেখানে দেখবেন বিদ্রোহীদের হাতে জার্মানী কিংবা ইটালীর তৈরি অস্ত্র।
এটা এক ধরনের অস্ত্র বিক্রি এবং উপনিবেশ স্থাপনের কৌশল।যার ফলে সে দেশের সরকারকে সাহায্য করার অযুহাতে সামরিক অস্ত্র বিক্রি করা যায় আবার ঘাটিও তৈরি করা যায়। আইএস কারা তৈরি করলো এদেরকে তো পুরা বিশ্ব বয়কট করার কথা তাহলে এদের অস্ত্র আসে কোথা থেকে ? আরেকটি কারন হলো রাজতন্ত্র কিংবা গনতন্ত্রের খোলসে পুতুল সরকার। বছরের পর বছর ধরে এমনকি ৫০ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে সরকার প্রধানরা। তাই রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে এখন দেখা দিয়েছে গন অসন্তোষ বাড়ছে সামরিক বিদ্রোহ।
গ্যাবন ,নাইজার ,ইকুয়াসের সেনাবাহিনী পশ্চিমা তাবেদার সরকারকে বিতাড়িত করে -ক্ষমতা দখল করেছে। অবাক করার বিষয় হলো-এসব দেশ থেকে ফ্রান্সের রাষ্টদূতকে চলে যেতে বললেও তারা দেশ ছেড়ে যেতে যাচ্ছে না। এমনকি দুতাবাসে আগুন দিলেও রাষ্ট্রদূত সে দেশ ছাড়তে নারাজ।কেন তাদের কি আত্ম সম্মান নেই ?
আরেকটি কথা হলো আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশই মুসলিম প্রধান দেশ। তাই এদেরকে নারী ও ক্ষমতার লোভের টোপে ফেলানো যায় অতি সহজে।।

0 মন্তব্যসমূহ