দু মাস আগের ঘটনা । মাওয়া হয়ে ইন্ডিয়া যাচ্ছিলাম চা খেতে। পদ্মা ব্রিজের উপরে উঠে তো ভিডিও করার লোভ সামলাতে পারছিলাম না। টানা ১০ মিনিট ভিডিও করে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম। দূর্ভাগ্য কেউ অনুভুতি জানতে চাইলো না।
ব্রিজ পার হয়ে যখন -ভাঙ্গার (যদিও কোথায় ভাঙ্গা সেটা দেখলাম না ) দিকে যেতে লাগলো গ্রিন লাইন পরিবহনের গাড়ী। তখন ড্রাইভারকে বললাম -এখন কত স্পীডে গাড়ী চালাচ্ছেন -আপনার স্পীড মিটারইতো দেখছি নাই।
ড্রাইভার বললো -আমার স্পিড মিটারটা নষ্ট তাই খুলে মেরামত করতে দিসি। কিন্তু আমাদের এখানে গতি-সীমা ৬০ নির্ধারণ করা। যাত্রা বাড়ী থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত -৬০ এর উপরে গাড়ী চললে মামলায় পড়বো। ঐ যে একটা রাডার দেখছেন -এটা গতি-সীমা মাপার যন্ত্র ---।গতি-সীমার কারণে কোন মামলা হলে -ড্রাইভারের বেতন থেকে টাকা কেটে নেয় কোম্পানী। কোম্পানীর সাপ কথা -এ টাকা ড্রাইভারের বেতন থেকে যাবে -আমি দিবনা। তাই আমরা ৬০ এর উপরে উঠিনা।
আমি সেদিকে তাকিয়ে দেখলাম সত্যিই একটা রাডার ফিট করা আছে। ব্যাপারটা দেখে আমার কাছে বিদেশী অবস্থান করার মত একটা অনুভূতি হলো। কারণ বিদেশের পুলিশ রাস্তায় হাত উঠিয়ে কাগজ পত্র দেখেনা , সি এনজিতে কি মাল আছে সেটা খুলে দেখাতে হয়না। তারা গতি-সীমা, সিগনাল অমান্য -লেন পরিবর্তন ,ওভার-টেক এবং পুত পুত এর কারণে -সিসি টিভি দেখে মামলা তৈরি করে। দিন শেষে মালিকের মোবাইলে সে মামলার রিপোর্ট চলে যায়। টাকা না দিলে ট্র্যাকিং নাম্বার দেখে গাড়ী আটক করে। আমাদের দেশে প্রতিটি গাড়ীর পিছনে একটা চিপস থাকে কিন্তু এটা টাকা আদায় পর্যন্তই শেষ এরপরে এটার কোন কাজ হতে দেখা যায়নি। বিদেশী গাড়ী হারালে বা চুরি হলে এ চীপস ধরেই গাড়ী উদ্ধার করে।
যাই হোক কাল সাংবাদিক মুনজুরুল মাওলার একটা ভিডিও দেখলাম এলিভেট এক্সপ্রেস এর গতি-সীমা নিয়ে । সে গাড়ী চালাচ্ছিল ৫৫ স্পীডে। তার পাশ দিয়ে শো -শা করে গাড়ী ছুটতে লাগলো -৮০/৯০ স্পীডে। সে আপসোস করে বললো -আইন আছে কিন্তু মানছে না কেউ । এলিভেটর এক্সপ্রেসের গতি-সীমা ওভার রেটেট করলে দুর্ঘটনার সম্ভবনা বেড়ে যাবে। এ দায় নিবে কে ? শুধু গতিসীমা লিখেই বাঙ্গালীকে আইন শিখানো দায়। তাই এটা নিয়ন্ত্রন করা জরুরী।
0 মন্তব্যসমূহ