আয়নাঘর পর্ব-০৬।
৬ই আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ জনের মত ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাকীদের অবস্থা কি তা সরকারী ভাবে জানানো হয়নি এখনও।
ইতোমধ্যে বিবিসি ,বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থা, মানবাধিকার কমিশন ,ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম গুলো গুরুত্বের সংঘে আয়না-ঘরের কাহিনী তুলে ধরছে। সুর পাল্টাতে শুরু করেছে ভারতীয় চ্যানেল গুলো। ধারাবাহিক প্রতিবেদনে তুলে ধরছে -একটার পর একটা। তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না -শেখ হাসিনার মত একজন শাসক এমন ভয়ঙ্কর মানবতা বিরোধী জঘন্য কাজটি করতে পারে।তারা আশঙ্কা করছেন -পুরো ঘটনা তদন্তে শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হবে -তাকে সর্বোচ্ছ শাস্তি দেয়া হতে পারে।
অবাক করার বিষয় হলো এখন পর্যন্ত গুম হয়ে যাওয়া ৮৬ জনের পরিবারের সাথে কথা বলা এবং গোপনে সাক্ষাতকারের কাজটি সেরে ফেলেছে -আমেরিকার রাষ্ট্রদূত -পিটার হাস। যা ওয়াশিংটন সূত্রে জানা যায়।
সাক্ষাতকার নেবার কাজটি কখন শুরু কবে কখন হয়েছে এটি জানা না গেলেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তারা সরকারী কোন সংস্থাকে না জানিয়ে গোপনে কাজটি সেরে হোয়াইট হাউজে প্রতিবেদন পেশ করেছে এবং প্রতিবেদন নিয়ে কোন মন্তব্য করার আগেই বাংলাদেশ ত্যাগ করে পিটার হাস।
উল্লেখ যে -নেত্র-নিউজ/ডয়েসএফএল এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরেই ওয়াশিংটন নড়ে চড়ে বসে এবং তদন্ত শুরু করে।এক পর্যায়ে তারা কর্নেল নোমান এর সাক্ষাতকার নিলে তিনিই প্রথম এর সততা স্বীকার করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন তাকেও ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে এ সেলে বন্দী থাকতে হয়েছে ০৪ বছর ।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন -সরকার বিরোধী কিংবা রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে হুমকি স্বরূপ যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এই গোপন সেলে এনে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেবার জন্য নির্যাতন করা হয় এদের মধ্যে অনেককে পরবর্তীতে ক্রসফায়ার দেয়া হয় অনেককে বছরের পর বছর ধরে সেলে বন্দী রাখা হয়।
যাদের মধ্যে আনোয়ার আজমই অন্যতম তিনি কয়েকবছর ধরে এ সেলে বন্দী আছেন। আমি তাকে দেখেছি। তিনি আরো যোগ করে বলেন -সরকারী এ সেলটির নাম আয়নাঘর। এটি ডিজিএফআইয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। পরিচালনা করেন -ডিজি্এফআইয়ের প্রধান জিয়া-উল আহসান এবং তার সাথে আরো কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা।আর ডিজিএফআই কাজ করতো -প্রধান মন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারেক সাইদের নির্দেশ মতে।
ওয়াশিংটন আরো কয়েকজন অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চান। কিন্তু সরকারের ব্যাখ্যা মনঃ-পুত না হওয়ায় তারা রেব এবং ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্যাঙ্গশান জারী করেন।
(চলবে )
.jpg)
0 মন্তব্যসমূহ