নারীর -স্বাধীনতার দরকার। সে রাতে বাইরে থাকবে। বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিবে -মাঝে মাঝে নাইট ক্লাবে যাবে। ড্যান্স ক্লাবে যাবে।নাচবে কিছু টাকা পাবে। ফ্রিতে -মদ খাবে -বিয়ার খাবে -হুক্কা টানবে -ইয়াবা খাবে -গাঞ্জা খাবে। রাতে বেশি হয়ে গেলে গ্রুপ লিডার বড় কিংবা ভাই বন্ধুদের বাসায় রাত কাটিয়ে সকালে বাড়ী ফিরবে।
প্রয়োজনে মাঝে মাঝে নিজের বাসায় বন্ধুদের ডেকে এনে একটু আড্ডা দিবে -দুষ্টু পানি খাবে -হিন্দি গান চেড়ে এক্সে সাইজ করবে ।কোন বন্ধু রাতে তার সাথে তাহাজ্জুদ পড়তে চাইলে বেড শেয়ার করবে এতে সমস্যা কি ?
একটু মোজ মাস্তিও হলো হাতে কিছু টাকাও আসলো। দামী পোষাক -কসমেটিক্স -জুতা -আই-ফোন বা দামী-মোবাইল ফোন সব কিছুই-তো দরকার জগতের সাথে তাল মিলাতে গেলে। ফ্যামিলি থেকে-তো আর এত টাকা দিতে পারেনা।
বাবা মা মায়ের কাছে টাকা চাইলে কয় টাকাইবা দেয় -সুতরাং নারী স্বাধীনতার দরকার। কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না -না ফ্যামিলির কেউ, না -বাইরের কেউ। যদি রাজনীতি করে নারীকে কেউ বাধা দেয় তাহলে সে জঙ্গি- নারী বিদ্বেষী আর ঘরের কেউ বাধা দিতে আসলে তাকে দিতে হবে চরম মূল্য ----।
যেমনি দিয়েছিল ঐশীর বাবা। মনে আছে তার কথা ? তেমনি দিতে হলো সাভারের -জান্নাতুল শিফার বাবাকে
তাদের অপরাধ মেয়েকে জন্ম দেয়া। তাদের অপরাধ মেয়েকে লালন পালন করে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে না তোলা। তাদের অপরাধ নেশা করতে বাধা দেয়া তাদের অপরাধ নেশার টাকা জোগাড় করতে না দেয়া।
শুধু ভাবেন একবার এ মেয়েকে যদি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতো -তাহলে সে শিখতো বাবা মায়ের মর্যদা কতটুকু। সে শিখতো কিভাবে মেয়েদের পোষাকে চাল চলনে সংযত হতে হয় -এ এড়িয়ে চলতো খারাপ বন্ধু-বান্ধবের সংঘ। বাবা মা যতটুকু তাকে দিত পারতো সে সেটুকুতে সন্তুষ্ট থাকতো।
ঐশীর বাবা ছিলেন পুলিশ অফিসার। টাকার কোন অভাব ছিলনা তার। হেফাজতের এক সমাবেশে আল্লামা বাবু নগরীর দাঁড়ি ধরে টান দিয়েছিল সে -গজব-তো সেদিনই তার উপর আরোপিত হয়ে গেছে। প্রতিদিন সে মেয়ের হাত খরচ বাবত দিত -৫ হাজার টাকা । মেয়ে প্রযোজনের অতিরিক্ত এ টাকা দিয়ে বন্ধু বান্ধবের সাথে নেশা করতো। তারপর একদিন যখন মা বাবা তাকে শাসন করতে থাকে -তখন একরাত্রিতে ঐশী মা বাবাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এখন ফাঁসির আসামী সে-যদিও বাংলাদেশে কোন নারীর ফাঁসি হয়নি আজও।
জান্নাতুল শিফার বাবা দিনমজুর। সম্ভবত রিক্সা চালাতো। এর আগে বাবার বিরুদ্ধে সে মামলা করে -যৌন নির্যাতনে। বেচারা ০৩/০৪ বছর জেল খেটে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ছাড়া পায়।মাঝ খানে অনেক দিন অনেক ঘটনার পর --তার বাবা তাকে নেশার জগত থেকে ফিরে আসতে শাসন করে। তার ফরেজগার বান্ধবীদের নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতে বলে -নতুবা বান্ধবীদের বাসা ছাড়তে বলে -এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে বাবাকে খুন করে -নতুন নাটক সাজায়।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার, মেয়েকে ড্রেসে আচরণে -চাল চলনে -পোষাকে নারীবাদী মডার্ন হিসাবে গড়ে তুলবেন -নাকি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন ?
0 মন্তব্যসমূহ