বেনজির স্যার এবং হারুন স্যারের মত ঈমানদার আপনি পাবেন কই ?


এক চাচা তার ভাতিজার সাথে ঢাকায় আসলো জীবনে প্রথমবার। হঠাত একটা বড় বিল্ডিং দেখে চাচা ভাতিজাকে বলল দেখ দেখ ভাতিজা কত বড় বিল্ডিং।। কম করে হলেও ২০০ ইট গেছে এ বিল্ডিং তৈরি করতে। ভাতিজা বলল না চাচা আপনার আন্দাজ ঠিক হয়নি আমার মনে হয় ৫০০ ইটের মতো লাগছে।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার (১৬৩ তলা) #বুর্জখলিফাতে একরাত্রি যাপন করতে লাখ টাকার উপরে খরচ হয়।আমাদের #পরিপা মাঝে মাঝে সেখানে যায় চা কফি খেতে,নামের সদ ব্যবহারের জন্য স্কাই রাইডিংও করে আকাশে উড়েন! যদিও নিজের টাকায় সেখানে যান কিনা সেটা হারুন ভাই বলতে পারবেন।

আমাদের সাবেক আইজিপি এরপরে র্র্যাবের প্রধান সরকারের খুব আস্থা-ভাজন #বেনজির স্যার মাঝে মাঝে অবকাশ যাপনের জন্য সেখানে যেতেন। তিনি মনে করলেন বারবার এখানে এসে-সরকারের টাকা খরচ করে চাপানি খাবার কোন অর্থ হয় না তার চেয়ে হালাল টাকায় দুটো ফ্লাট কিনে নিই। যে ভাবনা সেই কাজ -বৈধ উপার্জনের টাকায় তাঁর হুর-রুম সুলতানার নামে দুটো ফ্লাট কিনে নিলেন।

তাতে মনে হয় কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তা নিয়ে নিন্দুকেরা কত সমালোচনা করে। সরকারের আস্থা-ভাজন লোক তাও মাত্র দুটো ফ্লাট!! পাক্কা ঈমানদার না হলে কেউ এমন কাজ করতে পারে? শুনলাম সরকার বাহাদুর নাকি এ দুটো ফ্লাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে।খুবই হৃদয় ছেদারক বিষয়।মমতাজ আপার মত জয় বাংলার লোক হিসাবে আমারও বুকটা ফাইটা গেল।

আপ্নাদের এই সমালোচনার ভয়ে সরকারের আরেক আস্থা-ভাজন আমাদের #ডিবিহারুন স্যার কিশোরগঞ্জে হালাল টাকায় ২০০ বিঘা জমির উপর রিসোর্ট করছে।এ আর এমনকি ২০০ বিগা জমি তার উপরে রিসোর্ট কত টাকায় বা গেছে। হতে পারে কয়েক হাজার।

এরপরও কিছু লোক বলে -বিগত সরকারের আমলে দেশে ঈমান-দার লোকের অভাব ছিল।

পুনশ্চ : বুর্জখলিফাতে এক একটি ফ্লাটের মূল্য ৩০/৩৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশে শুধু বেনজির নয় -একাধিক ধনকুবেরের ফ্লাট আছে ডুবাই এর এ টাওয়ারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ