প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলামের শাস্তি ছবিতে -রিয়াজের একটি ডায়ালগ ছিল -বউ গেলে বউ পাব -মা গেল মা পাব কোথায়। আসলেই তাই।
১। স্ত্রী যদি মারা যায় স্বামীরা আবার বিয়ে করতে পারে -আবার স্বামী মারা গেলেও স্ত্রীরা বিয়ে করে। কিন্তু যে মা/বাবা সন্তান হারান কিংবা যে সন্তান মা বাবা হারান সে শুন্যতা আর কিছুতেই পূরণ করা যায়না।
২। কবি বলেছেন -মায়ের কান্দন সারা জীবন .দু’চার মাস বোনের কান্দন রে... ওরে ঘরের পরিবারের কান্দন কয়েক দিন পরে থাকেনা---
৩।বিয়ে করার পর -অনেক সন্তানেরই মায়ের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়।মায়ের সাথে আগের মত কথা বলতে পারেনা -মায়ের খোজ খবরও রাখতে পারেনা। ২০% হয়তো পাওয়া যাবে যারা বদলায়নি -বাকী ৮০% বদলে যায় বা দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দেয়।
৪।খুব কম সংখ্যক মেয়ে আছে যারা শ্বশুর বাড়ীতে এলে শাশুড়িকে নিজের মায়ের আসনে রাখে বাকীরা শাশুড়ির মতই দেখে।বেশির ভাগ মেয়েরা -আমাদের সংসার না ভেবে আমার সংসার ভাবতে শুরু করে।
৫। মায়েরা অনেক সহ্য করে -ছেলে বৌয়ের সাথে খারাপ আচরণ করবে অথবা এ নিয়ে সংসারে ঝামেলা হবে তাই তারা অনেক অবহেলা -অযত্ন সহ্য করে নেয়। অনেক মেয়ে আছে যারা শাশুড়ির খাওয়া দাওয়া কথা বার্তা চাল চলন নিয়েও স্বামীর কাছে অভিযোগ করে। তখন ছেলে না পারে না পারে মাকে কিছু বলতে না পারে সহ্য করতে। তাদের জীবন তখন দূর্বিষহ হয়ে উঠে।
৬। অনেক মেয়েই নিজের স্বামীকে বুঝাতে সামর্থ্য হয়ে যে , নিজের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের আলাদা থাকা কিংবা আলাদা খাওয়া উচিত।
৭।বয়স হয়ে গেলে বৃদ্ধ মা বাবা নাতি-নাতনীদের সানিন্ধে থাকতে পছন্দ করে। টুকিটাকি কথা বার্তা সামান্য সাপোর্ট নাতি নাতনিদের কাছ থেকে তারা আসা করে। তারা কোন ভাবেই চায়না নাতি-নাতনীরা এ সময় তাদের কাছ থেকে দুরে থাক। কিন্তু ছেলে/বৌরা সেটা না বুঝেই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে -সন্তানকে দূরে স্কুলে ভর্তি করায় কিংবা আবাসিকে দেয় তখন মা বাবা নিঃসঙ্গতায় ভোগে।তারা কথা বলারও একটা মানুষ পায়না।
৮। বলা বাহুল্য নাতি-নাতীরা স্কুলের চেয়ে দাদা-দাদীর কাছেই গল্প শুনতে ভালোবাসে তাদের ভালো মন্দ- শিখে। নৈতিকতা তৈরি হয় দাদা-দাদীর আদর্শেই ।এ সময় যদি তারা বিচ্ছিন্ন থাকে তাহলে তাদের মনোবল নৈতিকতা অনেক দুর্বল হয়ে উঠে।
৯। খুব কম সংখ্যক মেয়ে আছে -যারা শাশুড়ির সাথে মুখে মুখে তর্ক করে। তাকে মানসিক শারীরিক নির্যাতন করে। নিজের অধিকার সম্মান ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে শাশুড়িকে খোটা দেয়। আবার কৌশলে ছেলেকে এ গুলা জানায় না-ভালো ছেলে হলে সে -কোনভাবে ছেলে সেটা জেনে গেলে আর সহ্য করতে পারেনা। তখন হয়তো স্ত্রীকে শাসন করে নয়তো নিজের উপর বিরক্তি প্রকাশ করে নিজের ভাগ্যকে গালি দেয়। অনেক সময় উকিল বাবাকে দোষারুপ করে।
১০। চাহিদা এবং লোভ মানুষকে ধ্বংস করে । পরিবারকে ধ্বংস করে। পারিবারিক অশান্তি ডেকে আনে। তাই চাহিদা সীমিত রাখুন জীবন সুখের হবে।
0 মন্তব্যসমূহ