তেমনি সরকারী চাকুরী করলেও আপনি কখনও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন না। তার নীতির বাইরে কাজ করতে পারবেন না। মন্ত্রী এমপি যদি অন্যায় আদেশও করে তাহলে আপনাকে মানতে হবে। নইলে বদলি প্রমোশান দায়িত্ব অবহেলা সহ পিছিলা জিন্দিগীর আমলনামা মাটি ফেটে বেরিয়ে আসবে । যার কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে সরকারী চাকুরী করা অবস্থায় রাজনীতি করে -সভা সমাবেশে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেয় , মিছিল নিয়ে দলের সমাবেশে -যথাযোগ্য মর্যদায় উপস্থিত হয় যার ফলে তাদের ভবিষ্যৎ হয় ফকফকা। বিগত এক দশকে কত মানুষকে ক্রস ফায়ার দেয়া হয়েছিল, কত মানুষ গুম হয়েছিল , কত মানুষকে জঙ্গি বানিয়ে হত্যা করা হয়েছিল - কত মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল -কত মানুষকে জেলে যেতে হয়েছিল -তার হিসাব হয়তো আমরা করে দেখেনি বা দেখার প্রয়োজনও মনে করিনা । কারণ ভোক্তভোগীরা ছিল সরকার বিরোধী সংগঠনের নেতা কর্মী -সুধী-রাজনীতিবিদ ,সেনা অফিসার ,বক্তা কিংবা সাংবাদিক। আপনি কি এর মধ্যে কয়েকজন খুঁজে পাবেন -যারা আওয়ামী লীগের বা সরকার সমর্থিত কিংবা বাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এমন ? আমার মনে হয় পাবেন না। কারন সরকারের পক্ষে থাকলে আপনার জন্য সব আইনই শিথিলযোগ্য। আরেকটি বিষয় আপনি খুঁজে পাবেন না -সেটি হলো যা কিছু ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটেছে তা সরকারের অমতে হয়েছে -বা সরকার অনুমোদন করেনি। তবে ক্রস ফায়ার এবং গুমের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অফিসারদের ইগো বা ভুল ইনফরমেশনে হয়েছে এ ধরনে ঘটনার সংখ্যা ৫% বাকী ৯৫% ছিল সরকারের উপ্রী মহলের পরিকল্পনা মোতাবেক।
যেমনি ভাবে স্কিপ্ট সাজানো হত -জঙ্গি নাটকের। গত দুদিন আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম কল্যাণপুরে জাহাজ বাড়ীতে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে যে মানুষ গুলোকে হত্যা করা হয় -তারা আগ থেকে ডিবি -RAB এবং ডিজি এফ আই এর হাতে বন্ধী ছিল। সে ঘটনার তদন্ত চলছে এখন -পুলিশ এবং আর্মির কয়েকজন অফিসারকে বন্দী করা হয়েছে ইতোমধ্যে -এখন শুধু সত্য প্রকাশের অপেক্ষা।
0 মন্তব্যসমূহ