এতদিন কিভাবে ব্যবসা করে আসছিল বেক্সিমকো -হটাত কেন ১৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো ?

 

কিছুদিন আগে -বন্ধ হয়ে গেল বেক্সিমকো গ্রুপের ১৪টি প্রতিষ্ঠান। যদিও বেক্সিমকো ফার্মা শাইন পুকুর এবং আইএফআইসি ব্যাংক সহ কিছু প্রতিষ্ঠান লাভজনক হওয়ায় -এগুলো এখনও চলমান বা বন্ধ করা হয়নি । আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে - প্রায় ৩৫ হাজারের অধিক শ্রমিক বেকার হয়ে গেল এবং সে সাথে তাদের পরিবারও।
কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো -এর সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে -বহু এক্সেসরিজ সাপ্লাইয়ার কোম্পানী, ফেব্রিক্স টেক্সটাইল ,ইনস্যুরেন্স ,সিএন্ডএফ ,জিপার বাটন ,এম্ব্রোটারী ,ট্রাসপোর্ট ,ওয়াশিং , ডাইং -কনসট্রাকশন সহ বহু ছোটখাট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যাদের বকেয়া -শত শত কোটি টাকা।এক কথায় -বেক্সিমকোর সাথে কাজ করেছে -অথচ টাকা পায়না এমন প্রতিষ্ঠান খুজে পাওয়া বিরল। কারণ সেখানে জয়বাংলা স্টাইলে কোম্পানী চলতো।
কোম্পানী জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে লুটে নিত -সরকারী অর্থ। আর কোম্পানীর কর্মকর্তারা লুটে নিত কোম্পানীর রক্ত। যার জন্য সেখানে যারা চাকুরী করতো তাদের অনেকেরই ভাগ্য অল্পদিনে বদলে গেছে। যদিও এটা সবার বেলায় হয়নি কারন সে রগ সবাই চিনতো না। যারা চিনতো তারাই ঠিকঠাক-মত অপারেশান সাকসেসফুল করে দিত।নিয়মিত বেতন তাদের না হলেও তাদের বেশির ভাগই চাকুরী ছাড়তো চাইতো না -জোঁকের মত পড়ে থাকতো।
আফসোস লাগে নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী ,ড্রাইভার হেলপার এবং নিন্মশ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য।যদিও সরকারী পৃষ্টপোষকতায় তাদের অনেকে ন্যায্য পাওনা বুঝে পেয়েছে কিংবা পাবার প্রক্রিয়া এখনও চলমান আছে -কিন্তু তাদের বলির পাঠা বানিয়ে রাস্তা বন্ধ করে -ফায়দা লুটেছে কোম্পানীর কিছু আস্থা-ভাজন লোক। যারা পূর্বেও ছিল মধ্যস্বত্ব ভোগী বর্তমানেও।
যেসব লোক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আফসোস করেন এবং সরকারকে দোষারুপ করেন -তাদের যদি একটা কথা জিজ্ঞাসা করি যে -বেক্সিমকো গ্রুপের কয়টি সামাজিক প্রতিষ্ঠান -স্কুল কলেজ -মাদ্রাসা মসজিদ কিংবা হাসপাতাল রয়েছে ? তারা কি পারতো না নিজেদের জন্য না হোক -কর্মচারীদের কিংবা দেশের মানুষের জন্য কয়েকটি হাসপাতাল এ দেশে গড়ে তুলতে ?
কিন্তু তারা সেটা করেনি কারণ তারা জানে হাসপাতালের জন্য -সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ দেবেনা । দিলেও যত সামান্য । তাই তারা গড়ে তুলেছে ঋণ নেবার মত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।তাদের মতই আছে বাংলাদেশে বহু রক্ত চোষা কোম্পানী। যাদের মধ্যে বেঙ্গল গ্রুপ অন্যতম। (আগামী পর্বে আলোচনা হবে তাদের নিয়ে)