যেসব কারণে দোয়া কবুল হয়না :- প্রত্যেক মুসলিম বিশ্বাস করেন যে, মানুষের জীবন-মৃত্যু, ভালো-মন্দ, রিজিক তথা স্ত্রী-সন্তান-সম্পদ, সুস্থতা-অসুস্থতা সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয় এবং তার নির্দেশে পরিবর্তন হয়ে থাকে।
এরজন্য তাকে দোয়া কিংবা প্রার্থনা করতে হয়। কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায় মানুষ দোয়া করার পরও তা কবুল হয়না। কিন্ত কেন ? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গয়ে মুহাদ্দিসগন কয়েকটি কারণ খুঁজে বের করেছেন । যা নিম্মরুপ :-
১ . হালাল রুজি করা :-হারাম বা অবৈধ উপার্জন করে কেউ দোয়া করে দোয়া কবুল হবেনা। তেমনি ভাবে কেউ হারাম খাবার খেয়ে দোয়া করলেও দোয়া কবুল হবেনা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহ তো কেবল মুত্তাকীদের থেকেই কবুল করেন’[সূরা মায়েদা, আয়াত: ২৭]
২। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে প্রার্থনা না করা। অনেক পীর আউলিয়ার কাছেও প্রার্থনা করে কিন্তু তাদের দেবার মত শক্তি এবং ক্ষমতা নেই এ ক্ষমতার মালিক এক মাত্র আল্লাহ তায়ালা। আর আমার বান্দারা যখন আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন আপনি বলে দিন) নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী। দোয়া কারী যখন আমাকে ডাকে তখন আমি ডাকে সাড়া দিই।’[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬]
৩।নিয়ত ঠিক করা - খাস দিলে দোয়া করা। মনের মধ্যে কোন প্রকার শঙ্কা কিংবা সন্দেহো না রাখা।
৪।দোয়ার মধ্যে পাপের কিছু না থাকা। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া না হওয়া। যেমনটি ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদিসে এসেছে।
৫. দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা।
৬. দোয়াতে মনোযোগ থাকা। দোয়া-কারীর মনোযোগ থাকবে এবং যার কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে তার মহত্ত্ব ও বড়ত্ব অন্তরে জাগ্রত রাখবে।
৭. দোয়ার ক্ষেত্রে কোনো সীমালঙ্ঘন না করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের রবকে ডাক। নিশ্চয় তিনি সীমা-লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ [সূরা আরাফ, আয়াত: ৫৫]
৮. হাদিয়া বা ওসিলা প্রদান করা। যেমন দান সদকা -দরুদ পড়া ,নামাজ পড়া বা কোরান তেলাওয়াতের পর দোয়া করা।
৯. দোয়াতে মনোযোগ থাকা। দোয়া-কালে দোয়া-কারীর মনোযোগ থাকবে এবং যার কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে তার মহত্ত্ব ও বড়ত্ব অন্তরে জাগ্রত রাখবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না।
১০. নির্দিষ্ট সময়ে দোয়া করা। যেমন দোয়া কবুল হওয়ার কিছু মুহূর্ত সময় আছে। তখন দোয়া করলে আল্লাহ দ্রুত তা কবুল করেন। যেমন: শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে দোয়া করলে সেই দোয়া আল্লাহ ফেরত দেন না। আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কবুল হয়। আসরের নামাজের পর সূর্যাস্তের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দোয়া কবুলের সময়। সূত্র : ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব এবং মিজানুর রহমান আজহারী।
0 মন্তব্যসমূহ