রোজা ফরজ হওয়ার শর্ত :-
১. মুসলিম হওয়া : কোনো অমুসলিমের জন্য ইসলামী রীতিতে রোজা পালন অনুমোদিত নয়।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া : প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে কোনো মুসলিমের ওপর রোজা ফরজ হয় না।
যেসব কারনে রোজা ভাঙ্গা যাবে কিংবা পরবর্তীতে রাখা যাবে :-
১. অসুস্থ হওয়া : অসুস্থ, রোজা রাখলে ক্ষতি হয় এমন হলে ব্যক্তির ওপর রোজা রাখা আবশ্যক নয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে অন্য সময় ‘এই সংখ্যা’ পূরণ করতে হবে।” (সুরা ; বাকারা, আয়াত : ১৮৪)
২. মুসাফির হওয়া : কোনো ব্যক্তি মুসাফির হলে তার ওপর রোজা আদায় করা আবশ্যক নয়। বরং সে চাইলে রোজা ছেড়ে দিতে পারবে। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে অন্য সময় ‘এই সংখ্যা’ পূরণ করতে হবে।” (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৪)
৩. শরয়ি নিষেধাজ্ঞা থাকা : নারীদের হায়েজ (মাসিক) ও নিফাস (প্রসব-পরবর্তী স্রাব) থাকলে তাদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। এমন সময় তারা রোজা থেকে বিরত থাকবে। পরবর্তী সময়ে তা কাজা করে নেবে।
যাদের উপর রোজা ফরজ হয়েছে তারা যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে রোজা ভঙ্গ করে তাহলে জন্য রোজার কাফ্ফারা হলো:-
ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ রোজা ভাঙ্গলে তাকে রোজা কাজা করার পরও কাফফারা আদায় করতে হয়। এই কাফফারা হলো একটি দাস মুক্ত করা, আর অক্ষম হলে ধারাবাহিকভাবে ৬০ দিন রোজা রাখা এবং তা-ও না পারলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাবার খাওয়ানো।
কিন্তু নিমোক্ত কারনে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে ::-
১. ইচ্ছে করে বমি করা; বমির বেশিরভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা
২. মেয়েদের হায়েজ-নিফাস বা ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব শুরু হলে।
৩. গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা স্যালাইন দিলে
৪. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে
৫. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে
৬. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে; রাত বাকি আছে ভেবে সুবেহ সাদিকের পর পানাহার করলে।
৭. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে, ইচ্ছে করে আরও কিছু খেলে
৮. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে
৯. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে
১০. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেয়ার সময়, ভেতরে পানি চলে গেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।
0 মন্তব্যসমূহ