পাহাড় কেন সৃষ্টি করা হলো -পৃথিবীতে পাহাড় না থাকলে কি হতো ?


পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ২৭% হলো পাহাড় কিংবা পর্বত। এ পাহার থেকে তৈরি হয়েছে খাল বা  নদীর। নদী না থাকলে সাগর থাকতো না -সাগর না থাকলে মহাসাগর থাকতো না। আবার এসব নদী সমুদ্রে থাকতো না কোন মাছ কিংবা সামুদ্রিক প্রাণী। চলতো না জাহাজ ।  পৃথিবীতে কত রকমের পাহাড় আছে -আপনি কত রকমের পাহাড় দেখেছেন ? আপনি যদি পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর কথা ভাবেন তাহলে দেখবেন -মহাসাগর আর মহাসমুদ্র । আবার যদি উত্তর দিকে দেখেন তাহলে দেখবেন পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত পাহাড় আর পাহাড়। 
বার্মা থেকে শুরু । ভারতের মেঘালয় -বাংলাদেশের পার্বত্য  চট্টগ্রাম -আসাম ত্রিপুরা -চীন -নেপাল -ভুটান -ভারতের উত্তর খণ্ড এবং উত্তর প্রদেশ হয়ে কাশ্মীর -পাকিস্তান আফগানিস্তান -আজারবাইজান -ইরান- রাশিয়া পর্যন্ত এই পাহাড় আর পাহাড়। 
এর মধ্যে কোনটি -বৃক্ষরাজিতে ঘেরা কোনটি পাথরে কোনটি বালিতে -কোনটি বরফে আচ্ছাদিত। এক একটি পাহাড়ের উচ্চতা বিস্তৃতি এবং গঠন দেখলে আপনি এ সৃষ্টির রহস্য নিয়ে না ভেবে পারবেন না। এটা আদো কি কোন মানুষের দ্বারা তৈরি করা সম্ভব ছিল ? পাহাড়ের এক একটি পাথর খণ্ডের ওজন কত টন হতে পারে ? এক একটি পাহাড় বালির উপর কিভাবে এত উচ্চতায় দাড়িয়ে থাকে। যে গুলা মাটির তৈরি সেগুলা কিভাবে তৈরি হলো ? যে গুলা বরফের তৈরি সেখানে কি করে জমা হলো এত বরপ ?
বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম যদি আপনি যান তাহলে হয়তো বৈচিত্র্য ময় কিছু পাহাড় দেখবেন -একটু অবাকও হবেন বৈকি। কিন্তু আপনি যদি কখনও ভারতের মেঘালয় এবং নেপালে যান তাহলে -আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। এক একটি পাথর খণ্ডের আকৃতি হবে কয়েকশত টন। কোন জোড়াতালি ছাড়াই। দিনের পর দিন এগুলো মেশিন দিয়ে কেটে রাস্তা তৈরি করা হয়। আবার বরফ এলাকায় যদি যান তাহলে আপনি ভেবেউ স্থির করতে পারবেন না -এত বড় বরফ খণ্ড কত দিনে কত বছরে কিংবা কতজন কারিগরে মিলে তৈরি করলো। 
আপনি যদি মিশরে যান যেখানে দেখবেন -কালো পাথরের পাহাড়। তুর পাহাড়ে গেলে দেখবেন সেটা কয়লা আকৃতির পাথর। যা দিনে থাকে এক রকম রাতে গেলে আরেক রকম। চীনে একই পাহাড়ের আছে ০৭ রকমের রূপ।  কিন্তু কিভাবে কেন তৈরি করা করা হয়েছে এ পাহাড় । যদি পাহাড়  না থাকতো কিংবা বিলীন হয়ে যেত তাহলে পৃথিবীর কি অবস্থা হত।
তা ভেবেছেন কখনও ? 
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরানে দেয়া হয়েছে -সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা। মূলত ভূপৃষ্ঠের ভারসাম্য রক্ষায় পেরেক হিসেবে সুবিশাল পর্বতমালা সৃষ্টি করা হয়েছে। যেন পৃথিবী স্থির থাকে এবং এতে বসবাসে কারো সমস্যা না হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) ভূপৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছেন এবং এর মধ্যে পর্বত ও নদী সৃষ্টি করেছেন, তিনি সব ফল সৃষ্টি করেছেন দুই ধরনের, তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন, এতে অবশ্যই চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন আছে’ (সুরা রাদ, আয়াত : ৩)

(অসমাপ্ত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ