মৃত ব্যক্তি কিংবা মা বাবার কবর জিয়ারতের নিয়ম ও দোয়া।

 



ইসলামের শুরুর দিকে কবর জিয়ারতের অনুমতি না থাকলেও পরে হজরত মুহাম্মদ (সা.) কবর জিয়ারতের অনুমতি দেন।
সুনানে ইবনে মাজাহতে উল্লিখিত এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমাদের কবর জিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম। এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কেননা, তা দুনিয়া বিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার কবর-বাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যে দোয়াটি তিনি পাঠ করেন তা হলো—

السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالأَثَرِ

বাংলা উচ্চারণ : ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আছার।’

অর্থ : হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের এবং তোমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের আগে তোমরা কবরে গেছ এবং আমরা পরে আসছি। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৫৩)

আমরা অনেকে মা বাবা বা আত্মীয় স্বজনের কবর জেয়ারত করতে যাই। কিন্তু কোন আরবি শিক্ষা না থাকাতে বা দোয়া দুরুদ না জানাতে  বোবার মত দাঁড়িয়ে থাকি। অথবা হুজুরের সাথে আমিন আমিন করি। অথচ কিছু দোয়া দরুদ পড়লে মৃত ব্যক্তির উপকৃত হন কিংবা সন্তানের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন হয়ে যায়। এবং এ দোয়া কবুলের ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কোরানেও উল্লেখ করেছেন। দোয়াটি হলো -রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা -এ দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করতে বলা হয়েছে।এ ছাড়াও বিশেষ কিছু দোয়া আছে যা পাঠ করলে মৃত ব্যক্তির কবর আজাব মাফ হয়  আর যিনি এ দুরুদ পাঠ করেন তারও হৃদয় নরম হয়ে যায়,মৃত্যুর কথা স্মরন হয়। সন্তান হিসাবে দায়িত্ব পালন হয়ে যায়। নিম্নে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো -

১. আয়াতুল কুরসি পাঠ।

২. সুরা ইখলাস তিনবার ,সুরা ফালাক একবার ,সুরা নাছর একবার এবং সুরা ফাতেহা একবার।

৩.দুরুদে ইব্রাহীম পাঠ।

৪.নবীর শানে  দরুদ শরীফ।

এবং  ৫.  মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া। (মোনাজাত)

এভাবে কবর জিয়ারত করতে হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ