যুক্তরাষ্ট্র যখনই কোন মুসলিম দেশে হামলা করে -তখনই তারা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় সে দেশকে - অবৈধ পারমানবিক অস্ত্র মজুদ-কারী দেশ কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে হালাল করে নেয় ।তবে এবার ভেনিজুয়েলার জাহাজ ধ্বংসের সময় যুক্ত হয়েছে মাদক কারবারী শব্দটি।
তেমনি ভাবে আওয়ামীলীগ এদেশে যতটি বিরোধী দল নিধন কর্মসূচী করেছে সব কটার আগেই জঙ্গি শব্দটি ব্যবহার করেছে। এটা এখন প্রমাণিত আর তখনকার সময় ছিল সন্দেহজনক এবং প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড। জানতো আনেকেই কিন্তু ভয় মুখ খুলতোনা কেউ। যেটার আসল ঘটনা গুলো এখন বেরিয়ে আসছে একের পর এক।
ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির অফিসে যতবারই মনিরা আর হারুন্যা অভিযান চালিয়েছেন -ততবারই অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান পেয়ে যেত বাথরুমে। অবশ্য তার আগে শুধু একটা ট্রান্ক পুলিশের গাড়ী থেকে অফিসের ভেতরে যেত।
এমনিভাবে দেশে যতবারই দুর্গাপূজা হয়েছে ততবারই কোথাও না কোথাও মণ্ডপে আগুন দেয়া হামলা করা কিংবা নাশকতার ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক বছর ধরেই।
কই এবার দূর্গাপূজায়-তো শুনলামনা কোথাও হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে কিংবা আগুন দেয়া হয়েছে -তার অর্থ দাঁড়ায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এবং বিশ্বের কাছে নিজেদেরকে হাইলাইট করার জন্য সব ঘটনা সাজানো হত সরকারী পরিকল্পনা মোতাবেক। সেটা শেখ হাসিনার অডিও ক্লিপ এবং চৌধুরী মামুনের স্বীকারোক্তি থেকে স্পষ্ট। (প্রসঙ্গ সেতু ভবনে আগুন এবং কল্যানপুরে ১১ জঙ্গীকে মারার ঘটনা। ) এরপরও কিছু লোক সেটা বিশ্বাস করতে চাইবে না কারণ তারা আওয়ামী লীগ।
পুরো মুসলিম জাতিকে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী বানিয়ে এত বছর ধরে একের পর এক হামলা কিংবা রাষ্ট্র দখল করেছে ইহুদী খৃষ্টানরা। সেটা আফগানিস্তান বলেন আর ইরান-ইরাক -ইয়েমেন -লেবানন বলেন। কিন্তু একমাত্র ইরান ছাড়া সেটার জবার কেউ দিতে পারেনি। বিশ্বের কোথায় হামলা হলে না দেখেই বলে দিত -এটা মুসলিম জঙ্গিদের কাজ। বাট বিশ্ব এখন জেনে গেছে The Muslims is not Terrorist .
এবার গাজা গন হত্যার প্রতিবাদে এবং অপারেশান ফ্লোটিলার যাত্রীদের গ্রেফতারের জন্য -স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে-ইহুদীদের দোকানপাট লুট করেছে খৃষ্টানরা। হয়তো ওখানে মুসলিম ছিল কিংবা ছিলনা কিন্ত বদনামের বাগীদার হতে হয়নি মুসলমানদের কারন স্পেনের বেশিরভাগ মানুষই খৃষ্টান ।
0 মন্তব্যসমূহ