অভিষপ্ত শয়তানকে দেয়া হয়েছে ০৪টি বিশেষ ক্ষমতা এবং কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকার হায়াত।


আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয় ফেরেস্তা ছিল ইবলিস। কিন্তু আল্লাহর একটি আদেশ অমান্য করে বিতাড়িত হন পৃথিবীতে। তখন আল্লাহর কাছে সে চারটি আবেদন করে - তা হলো-


১. আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত জীবন লাভ করার অনুমতি দিন ।
আল্লাহর বাণী, ‘ইবলিস বলল, আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত সুযোগ দিন, আল্লাহ তাআলা বললেন, তুমি সুযোগপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫)

২. আমার জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. আমাকে মানুষের দৃষ্টিশক্তির অন্তরাল হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

৪. আমি যেন মানবদেহের শিরা-উপশিরায় চলাচল করতে পারি।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই শয়তান আদমসন্তানের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৮৮;

শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচার বিভিন্ন ধরনের আমল :-

এক. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা : আল্লাহ বলেন, ‘যখন কোরআন পাঠ করো তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো (আউজুবিল্লাহ পাঠ করো)।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৮)
অনুরূপ সুবহানাল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ, আল্লাহ আকবার, আয়াতুল কুরসি ইত্যাদি পাঠের কথাও এসেছে।

দুই. কাজেকর্মে সতর্কতা : মহানবী (সা.) বলেন, ‘সূর্যাস্তের পর আধাঘণ্টা পর্যন্ত ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে এবং বাচ্চাদের ঘরের বাইরে যেতে দেবে না। কারণ এ সময় শয়তান চলাচল করে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখলে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।’ (সহিহ বুখারি)

তিন. ভালো প্রবণতাকে প্রাধান্য দেওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘শয়তানের প্রভাব হলো, অকল্যাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা। আর ফেরেশতার প্রভাব হলো, কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং সত্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করা। সুতরাং যে ব্যক্তি কল্যাণের অবস্থা উপলব্ধি করে সে যেন জেনে রাখে, এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই হয়েছে।

চার. নামাজে মনোযোগ সৃষ্টি : রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, ‘তুমি যখন তার উপস্থিতি অনুভব করবে তখন তার কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তোমার বাঁ দিকে তিনবার থুতু ফেলবে।’ (মুসলিম)

লেখক : প্রধান ফকিহ
আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, ফেনী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ