ইরান এই যাত্রায় বেঁচে গেল শুধু দূরপাল্লার রকেট,মিসাইল, ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রন কৌশল ও বিমানবাহিনীর শক্তিমত্তার জন্য!! তাছাড়া নিজেদের আত্মবিশ্বাস -কৌশলগত অবস্থান এবং তুরস্ক, পাকিস্তান ,চীন ,উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার সমর্থনও প্রনিধান যোগ্য । বিশেষ করে সীমান্তবর্তী দেশ তুরস্ক ও পাকিস্তান ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে অঘোষিত ভাবে।তাই ইসরাইলকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে পেরেছে স্বল্প সময়ের মধ্যে। বিশেষ ভাবে আরেকটি জিনিষ বলা যায় যে -শুধু ইসরাইলের মধ্যে যে তারা ২ হাজার কিলোমিটার দুর থেকে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা ছাড়িয়েচে সেটা বড় কথা নয় -বড় কথা ছিল মধ্যপ্রাচ্যে যতগুলো আমেরিকান ঘাঁটি আছে সবগুলোই ইরানের মিসাইল রেঞ্জের মধ্যে ছিল !! তাই ইরাক ও কাতারে হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তড়িঘড়ি করে যুদ্ধ বিরতি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।।
বস্তুত ইসরাইলের কোমর ভেঙে দিয়েছে ইরানের মিসাইল!! তাই ১১ তম পরাশক্তির দেশ হয়েও ইসরাইল হতভম্ব হয়ে গেছে ইরানের রণকৌশল এবং ধ্বংশযজ্ঞ দেখে।
যদি ইরান প্রযুক্তিগত দিক থেকে এই শক্তি লাভ না করতে পারতো কিংবা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হতো তাহলে ইরানের অবস্থা হতো ইরাকের মত কিংবা মৃত্যু হতো হাজার হাজার মানুষের।পতন হয়ে যেত খামেনী প্রশাসনের ।অস্তিত্ব বিলীন হযে যেত মুসলমানদের। শুধু খুশী হত -ইসরাইল আমেরিকা আর রেজা পাহলবির পরিবার।
একবার গভীরভাবে ভাবুন, বাংলাদেশের সাথে যদি কোন দেশে যুদ্ধ বাঁধে, তাহলে বাংলাদেশের বহি :শক্তিকে মোকাবেলা করার মত কি আছে? কতক্ষণ লড়তে পারবে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা?
বাংলাদেশের না আছে যুদ্ধবিমান না আছে শক্তিশালী আয়রন ডোম,কিংবা ক্ষেপনাস্ত্র বিধ্বংসী পেট্রিয়ট ,না আছে শক্তিশালী রাডার ব্যবস্থা, না আছে ড্রোন! না আছে বিভিন্ন রেঞ্জের মিসাইল!! কিংবা সামুদ্রিক শক্তি।
শোনা যাচ্ছে ইরান যে সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলে, সেগুলোর ক্ষমতা ৫০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এমনকি তাদের ৫ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত আনতে সক্ষম ক্ষেপনাস্ত্র মজুদ আছে। যা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত আনতে সক্ষম।।
কিন্তু আমাদের কি আছে? আমাদের দেশে বিজ্ঞানী তৈরি হয় না, তৈরি হয় রাজনীতিবিদ।।
যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে টাকা ব্যয় হয় না, টাকা ব্যয় হয় এমপি মন্ত্রী সচিব বিচারপতি এবং সেনা কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর খাতে।।তাই আমারা এগিয়ে আছি শক্তিতে নয় বরং চাপার জোরে।
0 মন্তব্যসমূহ