মানুষের কাছ থেকে লজ্জা বিদায় নিচ্ছে

 আগে এ দৃশ্য প্রায়ই দেখা যেত -এখন আর কেউ প্রয়োজন মনে করেনা। গর্ব করেই কোন পর্দা ঢাকনা ছাড়াই রমজানে দোকান খুলে। প্রকাশ্যে পানাহার করে। যে রোজা রাখেনা সে সিগারেট টানে কিংবা খাবার খায় বুক ফুলিয়ে। আর যে রোজা রাখে সে চলে অসহায় বালিকার মত কোন দিকে না থাকিয়ে চলে যেতে পারলেই রক্ষে। এখন রমজানের দিনেও কোন কোন দোকানে লেখা থাকে -এখানে পান/বিড়ি কিংবা দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা আছে।

আগে সাধু দেখে চোর পালাইতো এখন চোর দেখে সাধু পালায়। রাস্তায় পাশে হাগু করতে বসলেও মাথা নীচু করে থাকতো। এখন মাথা উচু করে বলে তাকাইলেন ক্যান? এমন যুগ এসে গেছে যে, যারা অন্যায় করে তাদেরই দাফট বেশি। চোরের মারই গলাটা বড় হয়ে গেছে। সকল পুথিগত বিদ্যা এখন অসাঢ়।
খাদ্যে ভেজাল মিশাবেন ,পন্য মজুদ করবেন ,ভেজাল খাদ্য বিক্রি করবেন -ঘুষ খাবেন -সুদ খাবেন ,রডের পরিবর্তে বাঁশ দিবেন ,ইটের পরিবর্তে চুরকি দিবেন- কোন অপরাধ বোধ নেই বরং তাদেরই মূখটা বড় থাকে। আবার উচু স্বরে বলবে -দিছিতো কি হইছে তাতে আপনার সমস্যা কোথায় ? আবার এরাই একদিন টাকার বিনিময়ে নেতা হবার টিকেট পেয়ে যায়।
আসলে এটা আমাদের শিক্ষার সমস্যা না কারণ কোন শিক্ষাই মানুষকে খারাপ হতে বলেনা। সমস্যা হলো সমাজ ব্যবস্থার।নৈতিক অবক্ষয়ের।ধর্মহীনতার। মানুষ যতক্ষন ধর্মহীনতার মধ্যে থাকবে ততক্ষন সে পাপকে পাপ ভাববে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ