পৃথিবীর সর্বোচ্ছ শিঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট। এটা নেপালে অবস্থিত। উচ্চ ২৯০৩৫ ফিট বা  ৮.৮৮৪ মিটার যা ৫ মাইলের মত। বিজ্ঞানীরা বলেন এটার বয়স ৬০ মিলিয়ন বছরের বেশি। প্রতি বছর এ উচ্চতা ০.২৫ ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পায়। কেন পায় কিভাবে পায় এটার অবশ্য কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই। 

সমুদ্রের নীচেও পাহাড় আছে আবার সেখানে আছে গিরীখাদ। যে খাদের গভীরতা -ভূপৃষ্ঠ থেকেও বেশি। প্রশান্ত মহাসাগরের এ এলাকাটির নাম মারিয়ানা ট্রেঞ্চ।গভীরতা প্রায় ১১ কিলোমিটার।  বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাবে এ গভীরতা নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন । তবে এর নিন্মদেশে যেতে পারেননি -পানির চাপ এবং মৃত্যুর ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে। এর পুরো তলদেশ রহস্যময় । বিভিন্ন খনিজ এবং প্রাণীজ সম্পদ দ্বারা ঘেরা। 

আমেরিকার ন্যাবেল একাডেমীর বিজ্ঞানীরা কয়েকবার যন্ত্রের সাহায্যে পাইপ দিয়ে চেষ্টা করেছেন এর  গভীরে কি আছে তা দেখার জন্য কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন -এর ভেতরের তাপমাত্রা কারণে । সাধারণত লোহা গলে যায় ২ হাজার ডিগ্রী ফারেনহাউড তাপমাত্রায় কিন্তু মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরের তাপমাত্রা -৮ হাজার ডিগ্রী ফারেনহাইটেরও বেশি।  এ ব্যাপারে পবিত্র কোরানে সুরা  জ্বিল-জালাতে আল্লাহ-- পানির তলদেশের  ফুটন্ত  লাভার কসম খেয়েছেন । যা আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই কোরানে বলা হয়েছে। মূলত এ আয়াতের সুত্র ধরেই বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের তলদেশে লাভার সন্ধান করেছেন। 

কয়েকমাস আগে ইন্দোনেশিয়ার সাগরে সুনামির যে বিষ্পোরণ হলো। তাতে সাগরের নীচ থেকেই ফুটন্ত আগ্নেয়গীরি পুরো উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে কয়েক মাইল এলাকা জুড়ে। বিষ্পোরণের তীব্রতা এতই কঠিন  ছিল যে পুরো ইন্দোনেশিয়ার আকাশে আগুনের ষ্পুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে এবং কালো ধুয়ায় ছেয়ে গেছে। সুনামির পরে সাগর শুকিয়ে সেখানে স্থলভূমির সৃষ্টি হয়েছে।যা বিজ্ঞানীদের হতবাক করেছে। 

এ ব্যাপারে কোরানে জিল-জালাতে বলা বলা হয়েছে -আকাশ থেকে যখন নক্ষত্র খসে পড়বে -সমুদ্র যখন তার ভেতরে থাকা খনিজ সম্পদ উদগ্রীরন করবে ----।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ