ঘসেটি বেগমের জীবনের শেষ সময়টা কেটেছে ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদে তার মৃত্যু হয় বুড়িগঙ্গায় ডুবে।
ঘসেটি বেগমের স্বামী নওয়াজিস মুহাম্মদ শাহমাত জং ছিলেন ঢাকার নায়েব। ১৭৫৫ সালে তিনি মারা যাবার পর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে যান ..মেহের-উন-নিসা বেগম বা ঘসেটি বেগম। সিরাজ ক্ষমতায় বসে তার কাছে এ বঙ্গের হিসাব তলব করলেই ঘসেটি বেগমের সাথে বিরোধ শুরু হয়। যে বিরোধের জেরে সিরাজ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে হিরা-ঝিল প্রাসাদে বন্ধী হন। এ দিকে ক্ষমতায় বসেই মীর জাফর বুঝতে পারেন তার পথের কাঁটা এখন ঘসেটি বেগম। অন্যদিকে ঘসেটি বেগমের মতিঝিল প্রাসাদে লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্ছিত আছে এ খবরে মীর জাফর মতিঝিল প্রাসাদ আক্রমণ করে ঘসেটি বেগমকে বন্দী করে ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদে অন্তরিন রাখেন। অন্যদিকে সিরাজের মাতা আমেনা বেগমকেও মুর্শিদাবাদে রাখা নিজের জন্য নিরাপদ নয় -মনে করে একই প্রাসাদে রাখেন।
এদিকে ঘসেটি বেগম নিজের স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণা ভুলতে না পেরে নানা ভাবে মীর জাফরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। অবস্থা বুঝে মীর জাফরের পুত্র মীর মিরন ঘসেটি বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ঘসেটি বেগমেক প্রলোভন দিয়ে বলা হয় মতিঝিল প্রাসাদের স্বর্ণা অলঙ্কার এবং ক্ষমতার ভাগাভাগির জন্য নবার তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি চাননা তাদের মধ্যে আর কোন বিরোধ থাকুন। প্রলোভনের ফাঁদে পড়েন -ঘসেটি বেগম।
তার জন্য স্পেশাল নৌকা আনা হয়। সে নৌকাতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সিরাজের মাকেও তোলা হয়। তাকে বলা হয় তিনি সিরাজের কবর জেয়ারতের সুযোগ পাবেন কিন্তু কেউ কারো কথা জানতেন না। রাতের আঁধারে তাদের নৌকাতে তোলা হয়। ঠিক মাঝ নদীতে গেলে নৌকাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ছিদ্র গুলো খুলে দেয়া হয়। ঘসেটি বেগম অনেক অনুনয় বিনয় এবং প্রলোভন দিয়ে ছিলেন তাঁকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু মিরনের নিযুক্ত করা লোকেরা কর্ণপাত করেননি। সিরাজের মা হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছিলেন --ক্রমেই নৌকাটিতে পানি ভর্তি হয়ে বুড়িগঙ্গায় তলিয়ে যায়।
তবে কারো কারো মতে নৌকাতে সিরাজের মা আমেনা ছিলেন না। তার মৃত্যু হয়
0 মন্তব্যসমূহ