করোনায় প্রথম সিলেট মেডিকেলের এক ডাক্তার মারা যাবার পর -জানা গেল আমাদের এয়ার-এ্যাম্বুলেন্স নাই। ঢাকায় যখন লক ডাউন চলছিল -তখন করোনা রোগীদের নিয়ে মানুষ -হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরেছে -সিট নেই -ডাক্তার নেই। হাসপাতালের বারান্দায় কিংবা রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মারা গেছে আইসিউতে সিটের অভাবে। তখন এটা পরিস্কার হয়ে গেল যে আমাদের পর্যাপ্ত হাসপাতাল কিংবা আইসিউ বেড নেই।
বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে ১৭ তলা ভবনে আগুন লাগার পর জানা গেল -আমাদের আগুনে উদ্ধার করার মত উচ্চ রিস্কিউ ক্রেন নেই। মানুষ ১০/১১ তলা থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য লাফিয়ে পড়ে মারা গেছে ।সীতাকুণ্ডে আগুনে -১২ ফায়ার কর্মীর মৃত্যুর পর জানা গেল -আমাদের ফায়ার হেলিকপ্টার এবং কেমিক্যালের আগুন নেভানোর মত সরঞ্জামাদি নেই।
সিলেটে ভয়াবহ বন্যার পর এখন দেখা যাচ্ছে মানুষের মাথা গুজানোর জন্য যথাযথ সেল্টার সেন্টার বা আশ্রয় কেন্দ্র নেই। যার অর্থ দাঁড়ায় এলাকার এমপি মন্ত্রীরা হয়তো এদিকে মনোযোগ দেননি বা প্রয়োজন মনে করেননি -তারা ভেবেছেন -যাক সে কথা আর না বলি।
তাহলে আমাদের আছেটা কি ?এলিভেটার ,এক্সপ্রেস ,হাইওয়ে ,উড়াল সেতু ,ফোর লেন -আর নতুন নতুন বাস, ট্রেন কিংবা বিমানবন্দর। এ গুলো আমাদের জীবনকে গতিশীল এবং সমৃদ্ধ করে একথা সত্য। কিন্তু এসব কাজ করলে মানুষ যতটানা উপকৃত হয় তার চেয়ে নির্মাতা কিংবা জড়িতরা হয় সব চেয়ে বেশি। যার প্রমাণ সুইজব্যাংক।
জীবন রক্ষা করার উপকরণ গুলো নিয়ে যদি আমরা আরেকটু ভাবতাম তাহলে মানুষের জীবন আরো বেশি সুরক্ষিত এবং মৌলিক অধিকার অক্ষুন্ন থাকতো ।
0 মন্তব্যসমূহ