ইউরোপে সারা বছরই ফুটবলের আমেজ গেলে থাকে। আমাদের দেশে অনেক মানুষই রাত জেগে এসব খেলা দেখে। বোধ করি সারা বিশ্বের যত তারকা ফুটবল খেলোয়াড় আছে তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যারা ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবল খেলেনি।
এসব ক্লাবে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক যদি মাসে না গুনে দিনে বা ঘণ্টায় গুনেন তাহলে অংকটা সহজে বলে দেয়া যায়।যাদের মধ্যে আছে #লিও-নেল_মেসি #খৃষ্ট্রিয়ানো রোনাল্ডো #নেই-মার #এমবাপ্পে #সাদিওমানে #সালেহ #আর্লিং হল্যান্ড #ভিনিয়াস #হেগুয়িন #পল_পোগবা সহ আরো কত নাম।
এদের মধ্যে মেসির দৈনিক আয় -১০৬৭৬৪৫৭ টাকা। নেইমারের দৈনিক আয় -প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা। এমবাপ্পের দৈনিক আয় ০১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার মধ্যে ক্রিকেট অন্যতম। তাদের আয়ের অন্যমত উতসো হলো বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ গ্রহণ করে আইসিসি থেকে অর্জিত হয় কোটি কোটি টাকা। এ ছাড়াও ক্রিকেটের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে তারা আইসিসি থেকে অনুদান পেয়ে থাকেন। সরকার থেকেও তারা বাজেট পান কোটি কোটি টাকা।
এসব টাকার মধ্যে ব্যয়ের তালিকাটা বিশাল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাসিক চুক্তিতে আছে কিছু খেলোয়াড় এবং বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট পরিচালনা করার জন্য দেশীয় কোচ। এদেরকে পরিচালনা করার জন্য বোর্ড প্রধান ছাড়াও থাকেন পরিচালক-এবং নির্বাচক বা সিলেক্টর কমিটি। যারা মাসিক ভাবে বিসিবি থেকে একটা সম্মানী গাড়ী ,অফিস ,বিদেশ ভ্রমন সহ নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
তবে জাতীয় টিমের জন্য যে কোচ, সহকারী কোচ ,ট্রেনার ,ফিজিও,কম্পিউটার এনালিস্ট কিংবা ম্যানেজার থাকেন তাদের চাকুরীটা হয় চুক্তি ভিত্তিক। এক বছর বা দুবছরের জন্য তাদের সাথে চুক্তি করা হয়ে থাকে। তাদের পারফর্মেন্স বিবেচনা করে সেটা আবার নবায়ন কিংবা বাতিলও হয়ে থাকে।
ক্লাব ফুটবলে দেখবেন -সফলতার জন্য তাদের চুক্তি যেমন বাতিল করা হয়ে তেমনি ব্যর্থতার জন্য কোচ সহকারী কোচকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। অনেক সময় তাদের সাথে চুক্তি বাতিল করা হয়। বাংলাদেশে কিন্তু এমন নজির খুব কমই আছে। এর কারন প্রথমত: তাদের চাকুরীটা হয় বোর্ড প্রধানের মর্জির উপরে। দ্বিতীয়ত বোর্ডে সিলেক্টর বা নির্বাচক যারা থাকেন এরাও বোর্ড প্রদানকেই শুধু জবাব দিহী করতে হয় বলে -এদের পদত্যাগ বা ছাটাই কমই হয়ে থাকে।
খেলোয়াররা খারাপ করলে তাদের বাদ দেবার রীতি আছে কিন্তু সিলেক্টর বা নির্বাচকদের কোন ব্যর্থতাই এবং লজ্জা কোনটিই নেই অত্যন্ত আমাদের দেশে। পদত্যাগ শব্দটিতে একান্তই আপেক্ষিক। ওটা শুধু ডিকশনারিতেই দেখা যায়।আপনি শুধু লাভের গুড়টাই খাবেন -পঁচে বা গলে গেলে সেটা অন্যের ঘাড়ে চাপাবেন এমনই চলে আসছে এখন আমাদের দেশে।

0 মন্তব্যসমূহ