কয়েক মাস আগে হয়েছিল তুরস্কতে -এবার মরক্কো। বিপদ এবং মৃত্যু যে কোন সময় যে কোন দিনে আসতে পারে। তাই সতর্কতা এবং সাবধান হওয়াটা খূবই জরুরী। গভীর রাতে যখন সবাই ঘুমের ঘোর আচ্ছন্ন তখনই ঘটে এ ঘটনা। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজারের উপরে মানুষ। গৃহহীন হয়ে রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছেন করছে হাজার হাজার ফ্যামিলী। একদিন আগেও যারা ছিল কোটি টাকার মালি আজ তারা রাস্তার ভিখারী। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় -অনাহারে দিন কাটাচ্ছে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে। সামান্য একটা খাবারের জন্য লাইন ধরছে ধনী -গরীব।
যে বাড়ী ওয়ালা দুদিন আগে মানুষকে ভিক্ষা দিয়েছে আজ সে প্লেট হাতে খাবারের জন্য লাইনে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধ করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। একমাত্র আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ এ ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারেনা।
অতীতে আল্লাহ তাআলা অবাধ্যতার সাজা হিসেবে বহু জাতি ও গোষ্টীকে ভূমিকম্প দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
হযরত সালিহ (আ.)-এর জাতি সামুদ, শোয়াইব (আ.)-এর জাতি মায়ইয়ানবাসী ও লুত (আ.)-এর জাতি কওমে লুতকে ভূমিকম্পের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের কাউকে আমি মাটির নিচে গেড়ে দিয়েছি।’ (সুরা আনকাবুত: ৪০)
ভূমিকম্প কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতার কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো। কিয়ামতের ভূমিকম্প এক ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা দেখবে, সেদিন স্তন্যদায়ী মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানের কথা ভুলে যাবে আর সব গর্ভবতীর গর্ভপাত হয়ে যাবে। দৃশ্যত মানুষকে মাতালের মতো দেখাবে, আসলে তারা নেশাগ্রস্ত হবে না। মূলত আল্লাহর শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।’
(সুরা হজ, আয়াত: ১-২)
কিয়ামতের ভয়াবহতা নিয়ে অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(সেদিন) প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পর্যবসিত হবে।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৪-৬)

0 মন্তব্যসমূহ