একটু আগে মহাখালীর কাঁচা বাজার থেকে ঘুরে এলাম। দেখলাম কয়েকটি চ্যানেল ক্যামরা নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার সাক্ষাতকার নিচ্ছে।
বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। আলু ৪৫ টাকা । চিনি ১৪০ টাকা। গুড় ১৬০ টাকা। তৈলের লিটার ১৮০ টাকা।রসুন ২৫০ টাকা।লবন ৪০ টাকা। গরুর গোস্ত ৮০০ টাকা । খাসী ১২০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। যে কোন মাছের মূল্য ৩৫০/৪০০ টাকার নীচে নেই। তরকারীর কথা না হয় নাই বললাম।ডিমের হালী ৫৫ টাকা। তবে খুচরা হিসাবে প্রতিটি ডিম ১৫ টাকা। জাতীয় মাছ ইলিশে বিশাল মুল্য ছাড় একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি।
সরকারী নির্দেশনা মেনে চ্যানেল গুলোকে সাক্ষী রেখে দোকানী ও ক্রেতারা ব্যাপক উতসাহ উদ্দীপনার মধ্যে কেনা বেচা করছে। অনেকেতো বাজার করতে এসে আবেগে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বাজার থেকে বের হচ্ছে ।বলছেন সরকারী এমন কঠোর বাজার নীতির কারনে তারা সুলভে জিনিষপত্র কিনতে পারছে।যা তারা কল্পনাও করতে পারেনী।
সরকারী তদারকি আছে বলেই দোকানীরা ইচ্ছামত দাম হাঁকাতে পারেন না। এমনটি সরকারী নিয়মের বাইরে জিনিষপত্র বিক্রি করায় কয়েকজনকে পুলিশে ধরে নেয়ার ফলে বাকীরা ভয়ে সরকারী দামের চেয়ে এক কানা কড়িও বেশি দামে বিক্রি করছে না।তারা বিগত ৩০ বছরে এমন বাজার ব্যবস্থা চোখে দেখেনী। অনেক আবার বাজার করেই জয় বাংলা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে এবং বাজার মন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করছে। চ্যানেল গুলোতে শুধু বলছে - সরকার বাহাদুরকে বলে দিন আমরা এতটা সুখে আছি যা ভাষায় প্রকাশ করার মতনা।
আসলে সরকার শুধু নীতি করে বসে থাকেন না বাস্তবায়ন করে জনগনকে দেখিয়েও দেন ,তারা কতটা জন বান্ধব। এরপরেও কিছু পাবলিক না বুজে শুধু চিল্লায়।

0 মন্তব্যসমূহ