বাসা থেকে বের হয়ে -মহাখালী জলখাবারের পিছনে একটা টঙ দোকানের সামনে বসে আছি চা খাব বলে। আশে পাশে কয়েকটা খাবার হোটেল। রাস্তার অপরদিকে একটা বড় ডাস্টবিন।একটু পরে লক্ষ্য করলাম সেখানে একটা ভিক্ষুক বা পাগল টাইপের মানুষ সে ডাস্টবিনে যেন কি খুঁজছে।
হোটেলের একটা ছেলেও তার গতিবিধির দিকে নজর রাখতে শুরু করেছে। এরই মাঝে সে ডাস্টবিন থেকে একটা পলিথিন বের করে নিল।যাতে গত দিনের পুরি +বেগুনী+পেঁয়াজু পেলে দেয়া হয়েছে। আমি মোবাইল বের করলাম ছবি তুলবো এ সময় সে পলিটা নিজের জামার আড়ালে নিয়ে গেল। হোটেলের ছেলেটা এ দৃশ্য দেখে তার হাতে একটা সিঙ্গারা ধরিয়ে দিল।এবার সে পলিটা নিয়ে দ্রুত হাঁটা আরম্ভ করলো আমিও আস্তে আস্তে তার পিছু নিলাম।
কিছুদূর গিয়ে দেখলাম এবার সে ছেঁড়া জামার ভেতর থেকে সে পলিথিনটা বের করে সেখান থেকে বেগুনি গুলো রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে -পুরি গুলো চিবুতে চিবুতে -হাঁটা আরম্ভ করলো -আমি অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম। কি তৃপ্তি সহকারে সে খাচ্ছে !!
হোটেল রেস্টুরেন্টে আমরা যারা খাবার অপচয় করি -তা কিন্তু হোটল মালিকরা ডাস্টবিনে পেলে দেয়। আপনি ইচ্ছা করলে অতিরিক্ত খাবার গুলো -ওয়েটারকে বলে প্যাক করে নিতে পারেন। বা অর্ডার দেয়ার সময় কম করে অর্ডার দিতে পারেন। যা খেতে পারবেন না তা অর্ডার করা যেমন বোকামী তেমনি খাবার নষ্ট করাও কোন বিলাসিতার মধ্যে পড়েনা। মনে রাখবেন -আপনি যে দামী খাবার নষ্ট করছেন তা অনেক মানুষ মাসে একদিনও কিনে খেতে পারেনা।
আপনি ইচ্ছা করলে অতিরিক্ত খাবার গুলো রাস্তার পাশে যেকোন একটা ভিক্ষুক বা অনাহারীকে দিলে আপনার সামান্যতমও ক্ষতি হবেনা বরং সে খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবে।

0 মন্তব্যসমূহ