আমেরিকা যেখানে হাত দেয় সেখান থেকে খালি হাতে ফিরে না

 বাংলাদেশের মানুষ তিনটি কাজে খুব পারদর্শী। ১.#রাজনৈতিক বিষয়ে ২.#ধর্মীয় বিষয়ে ৩.#চিকিৎসা বিষয়ে। দোকানে অফিসে বাসায় চায়ের আড্ডায় দেখবেন -সবাই রাজনীতি বিষয়ে নিজস্ব মতামত দেয়।তথ্য কিংবা ইতিহাস যাই কি জানা আছে বড় কথা নয় -বড় কথা হলো সে এমন ভাবে কথা বলবে তার চেয়ে আরে কেউ বেশি কিছু জানেনা। একই কথা ধর্মীয় এবং চিকিৎসার ব্যাপারেও। আপনি শুধু একবার বলে দেখে আমার পেটে কিংবা মাথায় ব্যথা করে। দেখবেন কত রকম চিকিৎসা পদ্ধতি আপনি জেনে গেছেন। এর একটি মাত্র কারণ হলো -জ্ঞান বা লেখাপড়ার অভাব। বলতে সবাই চায় কিন্তু শিখতে কেউ চায়না এটাই আমাদের প্রধান সমস্যা। গত কয়েক দশেকের বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে যদি আপনি খোজ দিয়ে দেখেন তাহলে একটা বিষয় আপনি খুব পরিষ্কার ধারনা পাবেন যে -বেশির ভাগ স্বৈর শাসকের পতন হয়েছে আমেরিকার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে। মিশরের হোসনি মোবারক ,লিবিয়ার গাদ্দাফী এবং ইরাকের মত সাদ্দামের হোসেনের কথা আপনাদের ভুলে যাবার কথা নয়। এসব শাসকরা কখনও আমেরিকাকে পাত্তা দিয়ে কথা বলতেন না। মূলত: বিভিন্ন ইস্যুতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করেছে। যেমনি করেছে বাংলাদেশে। মিশরের #হোসনি_মোবারক একাধারে প্রেসিডেন্ট ছিল ৩০ বছর। তার পতন হয় সেনা বিদ্রোহে এবং মৃত্যু হয় কারাগারে ২০১১ সালে। একই বছর -লিবিয়ার প্রেসিডেন্টই #গাদ্দাফির ৪২ বছর শাসনের অবসান হয়। তাকে হত্যা করে বিপ্লবী কমান্ড এবং ন্যাটো মিত্র। এর আগে ২০০৩ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট #সাদ্দাম_হোসেন কুয়েত আক্রমণ করে বসে। সেখান থেকেই আমেরিকার রোষানলে পড়ে। এক সময় ব্যাপক পারমানবিক অস্ত্র জমা আছে এ অজুহাতে যৌথ বাহিনী ইরাক আক্রমণ করে -প্রায় ০৬ মাস যুদ্ধের পর সাদ্দাম হোসেনকে বন্ধী করে ২০০৬ সালে প্রহসন মূলক বিচারে তার ফাঁসি দেয়া হয়। এছাড়াও ফিদেল কাস্তো -ইরানের হাসেমী ,ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভিনইয়ানকে হত্যা করার পিছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা। এত কিছু জানার পরও প্রত্যক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে এবং একতরফা ভাবে ভারতের সাপোর্ট নিয়ে #গণতন্ত্র, #মানবাধিকার ,#ক্রসফায়ার ,#আয়নাঘর ইস্যুকে উপেক্ষা করে নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করার জন্য শেখ হাসিনার স্বৈর-তান্ত্রিক মনোভাব একমাত্র দায়ী।


তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ইতিহাস পড়া এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ