ডেটলাইন ০৫ই আগস্ট স্থান -সাভার:-
সকাল ১০ টার দিকে সাভার বাসষ্টান্ড এলাকায় আন্দোলন কারীরা জড়ো হতে থাকে। পুলিশ পথচারী থেকে শুরু করে যাকে পাচ্ছে তাকেই ধাওয়া দিচ্ছে। একটা সময় আন্দোলন কারীরা পুলিশকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ ডাইরেক্ট ছাত্রদের লক্ষ করে গুলি ছুড়ে মুহূর্তেই দুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । বহু ছাত্র আহত হয় কিন্তু ছাত্ররা আরো বেপরওয়া হয়ে উঠে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আন্দোলন কারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে সেনাবাহিনীর টহল টিম এসে উপস্থিত হয়। ছাত্ররা সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্য চায়। সেনাবাহিনী ছাত্রদের পিছু হটতে বলে -এরই মাঝে পুলিশের টিম এগিয়ে আসে -সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়লে পুলিশ পিছু হটে।স্থান কুমিল্লা -
সারা দেশে খবর ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন কারীদের উপর ছাত্রলীগের গুলিতে ০৫ জন নিহত হয়। পুরো কুমিল্লা এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। দফায় দফায় ছাত্রলীগের সাথে সাধারণ ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে কিছু ছাত্র সেনানিবাসের গেটে গিয়ে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করে। আর্মীর এক মেজর --নাম মনে নেই। ট্যাংক ও এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে ছাত্রলীগের উপর গুলি ছুড়ে । ছাত্রলীগ হতভম্ব হয়ে দিক বিদিক ছুটাছুটি করে গা ঢাকা দেয়।
স্থান মিরপুর ১০ নং চক্কর।
সকাল ১০টার দিকে ছাত্রদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয় পুলিশ।পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়। ছাত্ররা মিরপুর সাড়ে দশ থেকে ১১ পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এ পর্যায়ে সেখানে সৈন্যরা আসে। তখনও পুলিশ থেমে থেমে গুলি করছে ছাত্রদের উপর। সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলে ছুড়ে প্রায় ১০০ রাউন্ডের মত।পুলিশ পরিস্থিতী বেগতিক দেখে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে থানা দিকে চলে যায়। প্রায় ৫০ হাজারের অধিক ছাত্ররা ১০ নং চক্করের চারিদিকে অবস্থান নেয়। এখানে এসেও সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলো ছুড়তে থাকে। ছাত্ররা সৈন্যদের করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।এ মহুর্তে দরকার সেনাবাহিনীর সরকার বলে শ্লোগান দেয়-
স্থান রামপুরা :-
সকাল ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজের সামনে ছাত্ররা জড়ো হতে থাকে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে ছাত্ররা মারমুখী হয়ে গেলে পুলিশ পিছু হটে। খবর আসে আব্দুলাহপুরে এক লাখের মত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছে। মিছিল ছুটে চলে বিশ্বরোডের দিকে। আমেরিকান এ্যাম্বাসির সামনে এলে দেখে সৈন্যরা দাঁড়িয়ে আছে। আন্দোলন কারীরা থমকে যায়। হটাত করে এক সেনা অফিসার ছাত্রদের ইশারা দেয় সামনে এগিয়ে যাবার। ছাত্ররা বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে ফেটে পড়ে। সেনাবাহিনীকে ফুল দেয়। হ্যান্ডশেক করে। মিছিল এগিয়ে যায় সামনে।
স্থান :- শাহবাগ
সকালে ছাত্রলীগ এসে শাহবাগ দখল নেয়। বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা জড়ো হলে ছাত্রলীগ যুবলীগ মার খেয়ে পালাতে থাকে। সৈন্যরা ছাত্রদের বলে আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরুন আপনাদের আন্দোলন সফল হতে চলেছে। শ্রীঘ্রই কোন সু সংবাদ পাবেন। এটা শুনে অনেক আন্দোলন কারী আনন্দে কেঁদে দেয়। সৈন্যদের সাথে কুলাকুলি করে। ছাত্ররা সৈন্যদের সামরিক যানে উঠে উল্লাস করে। কিছু কিছু সৈন্য ছাত্রদের সাথে মিশে শ্লোগান দেয়। এ খবর ছড়িযে পড়ে একাধিক চ্যানেলে -সবার মধ্যে উতকন্ঠা কাজ করে।
স্থান :- আব্দুল্লাহপুর পুর
টঙ্গী গাজীপুর থেকে এক দফা দাবী নিয়ে কয়েক হাজার ছাত্র জড়ে হয়। পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে ছাত্রদের আটকে দেয়। চলে সংঘর্ষ। এক পর্যায়ে তারা ব্যারিকেড ভেঙ্গে হাউজ বিল্ডিং চলে আসে। ব্রিজের গোড়ায় এসে দেখে সেনাবাহিনী পুরো ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্র তাক করে রেখেছে। ছাত্ররা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলে। সেনা অফিসার বলে -যেখানে আছেন সেখানে থাকেন আপনারা আর সামনে আসবেন না। ছাত্ররা রাস্তায় বসে পড়ে। বাড়তে থাকে ছাত্রদের সংখ্যা ---আর্মীরা বার বার উপরে মহলে কথা বলতে থাকে। এদিকে ছাত্ররা এক পা দুপা করে এগুতে থাকে। কিছু ছাত্র বলে আমাদেরকে গুলি করেন আমরা পিছনে ফিরে যাবনা। কথা বলতে বলতে হটাত করেই কয়েক হাজার ছাত্ররা সেনাবাহিনী থেকে ২০ হাত দুরত্বে চলে আসে। ততক্ষণে সেনারা হয়তো গ্রিন সিগনাল পেয়ে গেছে। ব্যারিকেড উঠিয়ে নিতেই পুলিশ পালাতে থাকে। সেনারা এক পাশে অবস্থান নেয়। ছাত্ররা এসে সেনাবাহিনীর সাথে কুলাকুলি করে।মিছিল ছুটে চলে --গন ভবন মুখে ---।

0 মন্তব্যসমূহ