কারাগারে সাধারণতঃ তিন ধরনের আাসামী দেখা যায়।
#হাজতি #কয়েদি #কনডেম সেলের আসামী।
#হাজতী বলা হয় যাদের সন্দেহভাজন বা বিনা বিচারে অভিযুক্ত করা হয়েছে কিংবা মামলা চলমান। #কয়েদি হলো যাদের সাজা হয়েছে। #কনডেম সেলের আসামী হলো-মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তি।
কারাগার নির্ভর নাটক বা চলচ্চিত্র আমাদের দেশে খুব কমই হয়েছে। তাছাড়া অধিকঅংশ লেখক বা পরিচালকদের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই বলে তারা শিল্পকর্মে তুলে আনতে পারেন না। তবে মেধাবি কিছু পরিচালক অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শুনে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন তাদের নির্মানে কিছু খন্ড চিত্র তুলে ধরতে। এ ক্ষেত্রে #মোস্তফা_সারোয়ার ফারুকীর#আয়েশা, #অমিতাভ রেজার #আয়নাবাজি -র কথা আমার এ মুহুর্তে মনে পড়ছে।
এছাড়াও তৈরি হয়েচে একাধিক সিনেমা তবে তা পুর্নাঙ্গ চিত্র নয়।পুনাঙ্গ চিত্র দেখাতে গেলে সেটার হয়তো দর্শকের বিনোদন চাহিদা মেটাতে পারবে না । তাই কেউ বিয়য়টির এত গভীরেও যায়না।
পুর্নাঙ্গ চিত্র ফুটে উঠে ভোক্তভূগীদের সাথে কথা বলে কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা বইতে। বিনা অপরাধে সাজা ভোক্ত করছে বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের আসামী কি নেই কারাগারে ,প্রমানের অভাবে মামলার জামিন পাচ্ছেনা ,কিংবা টাকা পয়সার অভাবে আইনজীবি নিয়োগ দিতে পারছেন না বলে জামিন নিতে পারছেন না , এ থরনের নিরাপরাধ মানুষ কি নেই কারাগারে ? এমনকি ফাঁসির দন্ড আরোপিত হয়েছে নিরাপরাধ মানুষের উপরে এমন নজির কি নেই কোন মামলায় ? আমার কথা মিথ্যা কি সত্য তা একবার হলেও যাচাই করে দেখবেন কোন কারাবাসী লোকের সাথে কথা বলে।
এর নজির আছে বহু। কয়টি আসে মিডিয়ায় কিংবা মানবাধিকারের নজরে ? এটা মানুষের আদালত। এখানে যেমন ভুল তথ্য প্রমান দিয়ে মামলার রায়ে প্রভাব ফেলা যায় তেমনি তথ্য প্রমানের অভাবেও প্রকৃত আসামী খালাস পেয়ে যায়।
সুতরাং একজন মানুষকে আদালতের রায় নিয়ে বিচার করা কখনই বিজ্ঞতার পরিচয় নয়্ । কারণ বিচারকরাও ভুল করেন-তারাও রাজনৈতিক কারণে প্রভাবিত হন কিংবা রায় দিতে বাধ্য হন।
তাদেরও একদিন বিচার হবে। সেদিন কোন ভুল হবেনা। এজন্য আল্লাহ বলেছেন -তোমরা বিচারের ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় কর। কারণ তিনিই উত্তম ফয়সালাকারী।

0 মন্তব্যসমূহ