এয়ারপোর্টে ঢুকতে বের হতে একাধিক নিরাপত্তা বেষ্টনি বেদ করা লাগে - পুরো এলাকা সিসি ক্যামরার আওতাভুক্ত তাহলে সেখানে ---বাচ্ছা বিমানে উঠা কিংবা সোনা গায়েব হয় কিভাবে ?


যারা কখনও বিদেশ যাননি তারা হয়তো জানেন না যে এয়ারপোর্টে বিমান পর্যন্ত যেতে কয়টি স্টেপ পার হতে হয়। প্রথমত গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তা প্রহরীরা আপনার পাসপোর্ট আছে কিনা সেটা দেখতে চাইবে। দ্বিতীয় স্তরে আরেকবার দেহ তল্লাসি এবং বডি মাল চেক করে বোডিং পাস নিতে হবে। 

বোডিং পাস হলো যে বিমানের টিকেট কেটেছেন সে বিমান থেকে টিকেট কনফার্ম করে -ল্যাগেজ তাদের বুঝিয়ে দেয়া। এরপরে চলে যেতে হয় -ইমগ্রেশান যেখানে পাসপোর্ট এবং ভিসা যাচাই করে সিল মারা হয়। এখানে চেকিং টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা ভিসার সাথে যদি পাসপোর্টের গরমিল থাকে তাহলে ফেরত দেয়া হয়। এমনকি কারো ছবি কিংবা আঙ্গুলের ছাপ যদি না মিলে তাহলে তাকে ঢুকতে দেয়া কিংবা বিমানে উঠার অনুমতি দেয়া হয়না।  ইমেগ্রাশান পার হলেও একজন অফিসার থাকে -সিল মারা হয়েছে কিনা এটা দেখার জন্য। 

এ পয়েন্ট পার হলেই আপনাকে খুজে নিতে হয় -যে বিমানে যাবেন সে বিমানের টাইম এবং গেট। নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রীদের আহবান করা হয় লাইন ধরে বিমানের জোনে প্রবেশ করার জন্য।তখনও ফাইনালি বডি -ব্যাগ-পাসপোর্ট সব কিছুই তল্লাশি করা হয় সর্বশেষ বিমানে উঠতে শুধু টিকেট চেক করা হয়। এত নিরাপত্তার বেষ্টিনির পরে কিভাবে একটা শিশু বিমানে উঠে বসে -আমার জানা নেই।

দ্বিতীয়ত বিমান থেকে নামার পরই -ইমেগ্রেশান পার হলেই শুরু হয় -একের পর এক তল্লাশির নামে নাজেহাল। সেখানে কাস্টমস , ডিবি -এনএনস আই -আনসার সদস্যরা প্রতিটি যাত্রীর গতিবিধী এবং লাগিজ চেকিং এবং  সন্দহো হলে তল্লাসী করে থাকে। এরপর সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষনিক মনিটিরিংতো আছেই। 

সেখান থেকে যদি ৫৩ কেজি সোনা উধাও হয়ে গিয়ে থাকে -তাহলে বলতে হবে সেটা মানুষে নয় জ্বিনে নিয়েছে। কারণ ০১ মিনিটিরে জন্য যেখানে সিসি টিভি বন্ধ হয়না -একটি সুতা যেখান থেকে কেউ নিয়ে আসলে সিসি টিভিতে ধরা পড়ে -সেখানে ৫৩ কেজি সোনা বের করে আনতে হলে ৫৫ জনের সহযোগীতা ছাড়া একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার বটে। কারণ এয়ার পোর্টের লকাপ কোন হালকা বিষয় না। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ