যাদের ধর্মীয় জ্ঞান নেই কিংবা ধর্মীয় ভাবে কাবীন নামা সম্পর্কে অজ্ঞ তারাই একমাত্র হাস্যকর বা লোক দেখানোর জন্য কাবিন নামা নির্ধারন করে থাকে।
অনেকে আবার এক লাইন বেশি বুঝে। তারা মনে করে কাবীন নামা বেশি হলে ছেলে তালাক দেবার সাহস করবে না। আরে ভাই স্ত্রীর সাথে যদি তার মন মালিন্য হয় কিংবা স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হয় কিংবা স্ত্রী স্বামীর সাথে সংসার না করতে চায় তাহলে সে সংসারে বিবাহ বিচ্ছেদতো বাধ্যতা মুলক হয়ে যায়।
লোক দেখানো কিংবা ছেলের আর্থিক অবস্থার বাইরে কাবিন নামা নির্ধারন ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ সম্পর্কে একাধিক হাদিস রয়েছে ---আপনি যদি সেটা মেনে চলেন তাহলে একদিকে যেমন ধর্মীয় বিধান মেনে চললেন অন্যদিকে সামাজিক ভাবেও কোন সমস্যার মুখোমুখি হওয়া থেকে দুরে থাকতে পারবেন।
কাবিন নামা নির্ধারনের ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়ের অবস্থানকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে মেয়ের বোন খালা এবং আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করতে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে। যারা বলেন ইসলামে নারীর মর্যদা দেয়নি -তারা আসলে যে ইসলাম বুঝেনা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কাবীনের টাকা স্ত্রীকে স্পর্শ করার পূর্বে আদায় করা ফরজ। যতক্ষন পর্যন্ত স্ত্রী সে টাকা বুঝে না পাবেন কিংবা সমুদয় টাকা স্বামীকে ক্ষমা করে দিবেন ততক্ষন পর্যন্ত স্ত্রীকে স্পর্শ করা হারাম। আমরা লোক দেখানোর জন্য কিসু উসুল কিংবা বকেয়া উল্লেখ করে থাকি -এটা ধর্মীয় বিধানের পরিপন্থি।তবে যে পরিমান স্বর্ণালন্কার স্বামী বিবাহকালীন সময়ে স্ত্রীকে দিবেন সেটা উসুল হিসাবে দেখানো যেতে পারে।
আমাদের দেশে স্ত্রীকে তালাক দিলেই কাবিনের টাকার জন্য আদালতে যেতে হয় আর ইসলাম বলে কাবিনের টাকা আদায় করার পরই স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন আপনি কোনটা মানবেন -নারীবাদীদের কথা নাকি ধর্মীয় নিয়ম সেটা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।তবে যারা বলে ইসলাম নারীর মর্যদা ছোট করেছে তারা নিতান্তই মূর্খ।
0 মন্তব্যসমূহ