খারাপ মানুষ কখনও বেশিদিন বাঁচেনা -১০০ বছর বয়স গ্রামের মানুষরাই বেশি পায়।

 


আপনি যদি কখনও শুনেন কোন ব্যক্তি ১০০ বছর বয়সে মারা গেছে তাহলে অবশ্যই ধরে নিবেন লোকটি ভালো ছিল কারন -

১.খারাপ মানুষ কখনও বেশিদিন বাঁচেনা। যারা এ ধরনের বেশি হায়াত পায় তাদের সম্পর্কে মানুষের কোন খারাপ ধারনা নেই -লোকটি খারাপ ছিল এ কথা বলার লোক খুজে পাবেন না।
২.এসব মানুষ বেশির ভাগই গ্রামে থাকে। টাটকা শাক সবজি খায়। হাঁটা চলা করে। এসি-ফ্রিজ-ফ্যান-তথা প্রযুক্তির ছোঁয়া তাদের গায়ে কমই লাগে। গ্রামের কাঁদা মাটিতে হাঁটে। রোদ বৃষ্টি ঝড় তাদের স্পর্শ করে।
৩.তাদের জীবনটা কেটে গেছে আল্লাহর ইবাদতে ,মানুষের খেদমতে। কোন মানুষের উপকার ছাড়া তারা ক্ষতি করিনী । মানুষের দোয়া তাদের উপর থাকে । তাদের প্রতিটি কর্মে মৃত্যুচিন্তা থাকে। আল্লাহর রহমত তাদের উপর থাকে।
৪.তাদের জীবন প্রনালি বিশ্লেষন করে দেখবেন -তারা কত ঘন্ট ঘুমাতো ,সকাল কয়টায় ঘুম থেকে উঠতো , সারাদিন শুয়ে না থেকে কাজ করতো। খাওয়া দাওয়া নিয়ম মাফিক ছিল কিনা। কোন জিনিষ বেঁচে বেঁচে খেতে কিনা বা কোন নেশা তারা গ্রহন করতো কিনা?
৫.তাদের মনুষ্যত্ব বোধ দেখবেন , তারা কারো সম্পদ বিনষ্ট করেছে কিনা ,অহংকার করে চলতো কিনা ,কারো দেনা রেখে গেছে কিনা , কারো আমানত নষ্ট করেছে কিনা , ভাই বোনদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কিনা? তাদের দ্বারা মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে কিনা।
৬.তারা অপচয় করতো কিনা ,তারা বেশি খেত কিনা ,তারা গরীব মানুষের পাশে থাকতো কিনা। তারা বড়দের সম্মান ছোটদের স্নেহ করতো কিনা। তাদের কারনে পারিবারিক বা সামাজিক কোন্দল কখনও সৃষ্টি হত কিনা ।

মূলত কেউ চিরদিন বেঁচে থাকেনা। মৃত্যু মানুষের জন্য অবধারিত। এরপরও একটা সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে -খারাপ মানুষ বেশিদিন বাঁচেনা। তাদের জীবন দ্বারা যেমন মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করে তেমনি মানুষের অভিষাপও তাদের জীবনকে প্রভাবিত করে।
অন্যপক্ষে ভালো মানুষ ঠিক এর বিপরীত। যদিও সবকিছু উপর ওয়ালার সিদ্ধান্তে হয় তবুও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ