নিজেদের ভূমি রক্ষার্থে ফিলিস্তিনিরা যখন ইসরাইলি সেনাদের প্রতি পাথর ছুড়ে মারে তখন তারা হয়ে যায় সন্ত্রাসী।।আবার ইসরাইলিরা যখন ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়ি কামান. বুলডোজার ,বিমান হামলা করে গুড়িয়ে দেয় তখন সেটা হয়ে যায় সন্ত্রাস দমন ।।
এই তামাশা যখন মিডিয়া প্রচার করে তখন মুসলিম দেশগুলোও বিশ্বাস করে।। কারণ ফিলিস্তিনেরা হলো মুসলমান আর মুসলমানদের শক্তি এবং একতা বরাবরই দুর্বল!! তবে সংজ্ঞা এখন কিছুটা পাল্টেছে ফিলিস্তিনিরা পাথরের পরিবর্তে হাতে তুলে নিয়েছে কামানের গোলা রকেট লাঞ্চার গ্রেনেট, মিসাইল এবং গুলি।
নিউজের ধরনও পাল্টে গেছে। বিশ্ব মিডিয়া এখন প্রচার করছে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলি সৈন্যদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি।। এখন শুধু ফিলিস্তিনিরাই মরেনা ইসরাইলি সেনারাও মরে তাদেরকে জিম্মি করে তাদের ট্যান্ক দখল করে। নির্যাতিত হতে হতে মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন মানুষ এভাবে একদিন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।।মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এবারও কি স্বাধীনকামি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াবে নাকি বিশ্ব মোড়লদের পক্ষ নেবে? বলা বাহুল্য আমেরিকায় যেদিকে যায় আরবের বাতাসও সেদিকে ধাবিত হয়!!
এতদিন যারা ইউক্রেনের পক্ষে কথা বলেছেন সে ইউক্রেনও ইসরাইলের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। আমেরিকা অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আর রাশিয়া, তুরস্ক ,সৌদি আরব করেছে সতর্ক। দু সপ্তাহের লড়াই ২০০ এর মত ফিলিস্তীনি নিহত হয়েছে। অপদদিকে ইসরাইলীদের নিহত হয়েছে ০৩ সেনা এবং ১০০ জনের মত বেসামরিক লোকজন। এটাই এখন যেন সবার বেদনার কারন হয়ে গেছে। অথচ ২০০ নিরীহ মানুষকে গুলি করে যে মারলো্ এটার জন্য কোন পরিতাপ নেই কারো মুখে। কারন তারা নির্যাতীত নিপড়ীত -নিজ বাসভুমি থেকে বহিস্কৃত। তাদের পক্ষে মোড়লরা থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক।
আশার কথা এই যে -এবার হামলায় অংশ নিয়েছে হামাজ ও আল আকশা গ্রুপ। যারা এতদিন পাথর নিক্ষেপ করে গুলির জবাব দিত -এবার তারা স্বশস্ত্র হয়ে হামলা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধে নেমেছে।
0 মন্তব্যসমূহ