থার্টি ফাস্ট নাইটে মদ না খেলে প্রেস্টিজ থাকেনা।


থার্টি ফাস্ট নাইটে কি মদ খাওয়া আবশ্যক? না খেলে কি স্ট্যাটাস থাকেনা -নাকি উদযাপন হয়না ?
বিদেশীরা মদ খায় ঔষধের মত আর বাঙ্গালী মদ খায় -অতি আনন্দে কিংবা দুঃখে । কেউ কেউ বন্ধু বান্ধবের সাথে পার্টি বলতে মদকেই বুঝায়। এরা হলো সমাজের এক শ্রেণীর উ-শৃঙ্খল প্রাণী কিংবা আভিজাত্য শ্রেণীর। এ জন্য এদের বেশির ভাগই মারা যায় -স্টোকে কিংবা হার্ট এ্যাটার্কে।
গুলশান অল-কমিনিটি ক্লাবের কথা জানি। এ ক্লাব যখন প্রতিষ্ঠিত হয় -তখন এখানে সদস্য সংগ্রহ করা হয় ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে। পরবর্তীতে কিংবা বর্তমানে এ ক্লাবের সদস্য হতে গেলে ২০লাখ টাকার উপরে লাগে। এরপরও কেন মানুষ এ ক্লাবের সদস্য হয় ? কারা হয় এসব ক্লাবের মেম্বার ? কি জন্য ?
আমাদের কোম্পানীর ড্রাইভার এক সময় এ ক্লাবের এক সদস্যের গাড়ী চালাতো। তার চোখে দেখা দু /তিন বছরে এ ক্লাবের প্রায় ১০ শিল্পপতির মৃত্যু হয়েছে মদের কারণে। এদের কেউ হার্ট এ্যাটার্ক, কারো কিডনি ফেইল কেউবা গাড়ি এক্সিডেন্টে।
গত কয়েক মাস আগে আমার এক প্রতিবেশী -মহাখালীর রুচীতা বারে মদ খেয়ে স্টোক করে মারা যান।সন্তানেরা জাত কুল বাঁচাতে মদের কথা উহ্য রাখেন। বছরে আমাদের দেশে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয় -নেশার কারণে।
আমি দেশের এমন কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত-শিল্পী ,গায়ক,নায়ক,সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা জানি যাদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ ছিল মদ। আমার এক পরিচিত বান্ধবী ছিল সে তার মায়ের জন্ম বার্ষিকীতে আমাকে দাওয়াত করে।
সেখানে গিয়ে দেখি তার মা - মদ খাচ্ছে -এবং ঠিক একবছর পর জানতে পারি তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে অতিরিক্ত নেশার কারণে। এক মামা-তো ভাইর মৃত্যু হয়েছে সস্তা মদ খেয়ে। এক সাংবাদিক বন্ধুর মৃত্যু দেখেছি -মদের কারণে।
এরপরও মানুষ নেশায় আসক্ত হয় -মদ খায়।মাতাল হয়।জীবনের প্রতি এদের কোন মায়া নেই। এরা মদ খায় মন খারাপ হলে -আবার মন ভালো থাকলে। আবার কোন দিবস এলে। এদের অজুহাতের শেষ নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ