পর্ব-০২
পৃথিবীতে যদি কোন পাপের নগরী থাকে। তাহলে থাই ল্যান্ডের পাতায়া এবং আমেরিকার লাস ভ্যাগাস সবার আগে স্থান পাবে।পাতায়াতে গেলে বুঝা যায় পৃথিবীতে কত প্রকারের কমন জেন্ডার এবং ট্রান্স জেন্ডার লোকের বসবাস। আসলে ট্রান্স জেন্ডার এবং কমন জেন্ডারের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে।অনেক শিক্ষিত লোক আছে -তারাও এর পার্থক্য না বুঝে স্ট্যাটাস দেয় -যুক্তি উপস্থাপন করে। ফেসবুক হলো উন্মুক্ত মত প্রকাশের একটি মাধ্যমে এখানে না এলে আপনি বুঝতে পারবেন না -কার ভেতরে জ্ঞান কতটুকু আছে।
কমন জেন্ডার একটি সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়া যেটাকে আমরা হিজড়া বলে থাকি।এখানে মানুষের কোন হাত নেই। বিজ্ঞানী কিংবা আলেম ওলামাগন হয়তো ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিবেন। সমাজে এ জাতীয় মানুষের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। বলা চলে ৫০ বা ০১ লাখে একজন।
কিন্তু থাইল্যান্ডে গেলে দেখা যায় সে দেশ মনে হয় হিজড়া উৎপাদন কেন্দ্র।এত পরিমাণ হিজড়ার সমাগম কেন সেখানে তা বোধ গম্য নয়। তবে সেখানকার বেশির ভাগই হলো ট্রান্স জেন্ডার। যার অর্থ দাঁড়ায় ডাক্তারি প্রক্রিয়া কিংবা শারীরিক পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজকে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত করা।কোন কোন ক্ষেত্রে নারী থেকেও রুপান্তরিত হয়। থাইল্যান্ডে বহু হাসপাতালে এ কাজটি করে থাকে। যার ফলে কিছু কিছু লোক স্বপ্রনোদিত হয়ে ব্যবসা ভিত্তির জন্য রুপান্তরিত হয়। বিশ্বের একাধিক দেশে এ প্রক্রিয়া সিদ্ধ, তবে ইসলাম ধর্ম কোন ভাবে এটি সমর্থন করেনা।
বাংলাদেশে কতজন ট্রান্স-জেন্ডার আছে তা আমার জানা নেই। তবে বধির ,অন্ধ,অটুস্টটিক ছেলে মেয়ের সংখ্যা হাজারে হাজার। তাদের পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের জন্য সরকারী/বেসরকারী সংস্থাও আছে একাধিক। তারপরও ট্রান্স-জেন্ডার বিষয়টিকে পাঠ্য বইতে অন্তভুক্ত করে কোমলমতি শিশুদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া এবং এর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা দীপ্ত বুদ্ধির সহায়ক কি ?
.jpg)
0 মন্তব্যসমূহ