অসময়ে চলে যাওয়া বলে কোন শব্দ নেই-কারণ যাওয়া আসা কারো হাতে নেই।


 একে একে কাছের মানুষ গুলো চলে যাচ্ছে। সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে এ কথা যেমন সত্য তেমনি কারো মৃত্যু অবধারিত হয়ে গেলে সেটাও পৃথিবীর কোন শক্তি দিয়ে রোধ করা সম্ভব না সেটাও তেমনি সত্য।
অনেকে আবেগে বলে ফেলেন-এত তাড়া কিসের ছিল . অসময়ে চলে গেলেন -কেন আমাদের ছেড়ে চলে যেতে হবে -এসব শব্দের অর্থ দাঁড়ায় মৃত ব্যক্তি ইচ্ছে করেই --। আসলে জন্ম মৃত্যু কোন মানুষের হাতে নয়। এটা আমরা কেন ভুলে যাই? পৃথিবীতে আসা এবং যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজনেই নিয়ন্ত্রন করেন।
গত ১০/১২ বছর ধরে প্রতিটি বই মেলায় যাওয়া হয়। তারেক মাহমুদ এবং মোহাম্মদ নোমানকেও দেখা যেত প্রতিটি বই মেলায়। বিশেষ করে নোমান ভাই ফেরদৌস হাসান রানা ভাইয়ের বইয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন অন্যদিকে তারেক মাহমুদ লিটন ম্যাগাজিন চত্তরে নিজে বই বের করতেন প্রতি বছর ।আমিও তার দু একটি বই সংগ্রহ করেছি। তবে দুবার তাকে আমার বই উপহার হিসেবে দিলেও শেষ উপন্যাসটি আমি দিতে চাইনি।
মেলায় গেলে দেখা তার সাথে দেখা হতো কথা হতো। চা খেতাম একত্রে।আমার শেষ উপন্যাসটি যখন প্রকাশিত হয় তখন একদিন উনি আমাকে বললো-ভাই কেনারতো সাধ্য নেই -যদি মলাটের উপরে একটু হাত বুলানোর সুযোগ দিতেন ধন্য হতাম। আমি বললাম বই দিলেতো পড়েন না -দিয়ে লাভ কি ?
জবাবে বললেন -আমি আপনার কবিতার বইয়ের সব কবিতাই-তো পড়লাম। এজন্যইতো আমি আপনাকে কবি বলে ডাকি। এত অপবাধ দেন কেন।তখন বললাম -এই বইটি আপনাকে দিতে পারি কিন্ত পড়ে ফেরত দিতে হবে আমার সংগ্রহে বেশি বই নেই। শর্ত মানার পর -বইটি হাতে দিতেই মুখবন্ধ পড়তে লাগলেন। এরই ফাঁকে আমি কফি নিয়ে আসলাম তার জন্য---।
এবার নতুন সংস্করণ বের হলে বই মেলায় হয়তো যাওয়া হবে কয়েকবার । যাওয়ার পথে অনুসন্ধিঞ্চু চোখ ভুল করে হলেও লিটন ম্যাগাজিন ছত্তরে তাকিয়ে দেখবে কোথাও তারেক ভাই আছে কিনা ? রাইটার গিল্ডে যাওয়া হবে ঠিকই নোমান ভাইকে রানা ভাইয়ের সামনে দেখতে পাবনা আর কোনদিন।
এসব স্মৃতি ভুলার নয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ