স্ব স্ব ক্ষেত্রে কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে চায়না -শুধু চায় - মন্ত্রী এম.পি হতে।


এক ছাত্রকে শিক্ষক প্রশ্ন করলো -বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও?  ছাত্রের উত্তর -বিয়ে করতে চাই। শিক্ষক আবারও তাকে বললো -না মানে আমি তোমাকে বলতে চেয়েছি আসলে বড় হয়ে-তোমার স্বপ্ন কি -সে এবার উত্তর দিল-মা বাবাকে একটা পুত্রবধূ উপহার দেয়া। 

আমাদের অবস্থাও এখন অনেকটা সে ছাত্রের মত।সব পেশার লোকজনের এখন একটাই স্বপ্ন নেতা কিংবা এমপি হওয়া। কারণ  সবাই বুঝে গেছে সারা যে জীবন যে পেশাই করিনা কেন - সব চেয়ে বড় পেশা সবচেয়ে লাভজনক পেশা হলো রাজনীতি। তাই এখন আর কেউ স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হবার স্বপ্ন দেখেনা। 

 অভিনেতা +অভিনেত্রী+সঙ্গীত শিল্পী+খেলোয়াড়+ সাংবাদিক+ হুজুর +আইনজীবী+ব্যবসায়ী +ইউটিউবার +চ্যানেল মালিক+শিক্ষক+ অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা কিংবা বিচারপতি - সবার একটাই স্বপ্ন -নির্বাচন আসলে দলের একটা নমিনেশান পাওয়া। কয়েকটা ছবি করেন -কয়েকটা -গান গেয়ে থাকেন, কয়েকদিন খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকেন রাজনীতি বুঝেন আর না বুঝেন কোন ব্যাপার না। দলের নমিনেশান পেলেই ঘুরে যেতে পারে ভাগ্যের চাকা। অল্প পুজিতে অনেক লাভ। 

কারণ বিমানের টিকেট মিস হতে পারে - ডিভি লটারিতে আমেরিকা না যেতে পারেন -কিন্তু দলীয় নমিনেশান পেলে জনগনের কিংবা এলাকার কোন উন্নয়ন না হতে পারে কিন্তু নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেতে বাধ্য।  তাই  শুধু মমতাজ +সাকিব +মাশরাফি না -হিরো আলম-ছিদ্দিক-মাহিয়া মাহি কিংবা চিকন আলীরাও মরিয়া এমপি হতে। দলের পক্ষে কাজ না করেন সমস্যা নাই। কদিন চাটুকারিতায় লিপ্ত হবেন -বুঝে না বুঝে অন্ধভাবে দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করবেন -অলিতে গলিতে পোস্টার নিজে পোস্টার লাগিয়ে নীচে লিখে দিবেন এলাকার জনগন-ব্যস। 

সমাজের জন্য কার কি দায়বদ্ধতা আছে -রাজনীতিতে কতদিনের পরিশ্রম কিংবা ত্যাগ আছে সেটা বড় কথা না । বড় কথা হলো এমপি হতে হবে -তবেই কেল্লা-পথে। তাই নমিনেশানটা চাই -ই চাই। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ