হতাশা বিষাদ প্রবঞ্চনা কিংবা না পাওয়ার বেদনা একাকিত্ব থেকে একজন মানুষ কিভাবে নিজকে শেষ করে দিতে পারে ভাবতেই গা শিহরে উঠে।
৯৭/৯৮ সালের দিকে যখন ঢাকায় আসি তখন আমার ভাইয়ের কাছ একটা ক্যাসেট প্লেয়ার নিয়ে আসি। বাজার গিয়ে কয়েকটা ক্যাসেট কিনলাম -হেমন্ত,সাগর-সেন .রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ,সাদি মোহাম্মদ .কাদেরী কিবরিয়া,পাপিয়া সারোয়ার এবং জহির খানের। পালাক্রমে এগুলো শুনতাম।
আমি লেখা পড়ার কখনও খারাপ ছিলাম না। হোস্টেলের পোলাপাইন সারাদিন পড়া লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো -আমি গান শুনে ,সাংবাদিকতা ,টিউশনি করে দিন পার করতাম। লেখাপড়া যা হতো তা ঐ ক্লাসেই। ছেলেরা আমাকে বলতো-আপনি দেখি সারাদিন এটা সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন পড়ালেখা করেন কখন ?
সেই সাদি মোহাম্মদের গান ,কণ্ঠ এতটা হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছিল তার ঘোর আর কাটাতে পারিনি । বিটি-ভিতে তার গান দেখলে মন-মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। কি দারুণ পার্সোনালিটি । এ মানুষটি কিভাবে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিল ?
আসলে ধর্মীয় অনুশাসনে জীবন পরিচালিত ব্যক্তিরা কখনও আত্মহননের চিন্তা করতে পারেনা। কারণ তারা জানে আত্মহত্যা যেমনি মহাপাপ তেমনি এটা মানুষকে ইহ কিংবা পারলৌকিক কোন সমাস্যার সমাধান করে দিতে পারেনা। আপনি পুরুস্কার বা জাতীয় পুরুস্কার পেলেন না। নির্মলেন্দু গুনের মত -পেয়েওতো যেতে পারতেন দু এক বছর পরে।পুরুস্কার পায় ২১ জনে লোক আছে- কয়েক শ। যারা পুরুস্কার দেয় তাদেরওতো একটা সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।
তাই আসুন ধর্মীয় অনুশাসনে চলি তাহলে সকল চিন্তা ,হতাশা ,সমস্যা সম্মান -উপর ওয়ালার পক্ষ থেকেই ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কারণ সম্মান দেবার মালিক যেমন তিনি তেমনি -সমাধানের পথও বের করে দিতে পারেন তিনি।

0 মন্তব্যসমূহ