মুসলমান ধর্ম ছাড়া রোজা পালন করে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের লোকে।

 শুধু মুসলমান নয় ,মুসলিম ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের মানুষই রোজা পালন করে থাকে। যেমনি ভাবে এ বিষয়ে কোরআনে বলা হয়েছে  তোমাদের উপর যেমন রোজা ফরজ করা হয়েছে তেমনি-তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির উপরও রোজা ফরজ করা হয়েছিল। 

তবে সেটা পালনের নীতি একেক ধর্মে একেক রকম। তাদের ভাষায় সেটা হলো উপবাস- বা শরীর মনকে সংযত করার একটা উত্তম পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে ইহুদী খৃষ্টানের রোজা একটু ভিন্নতর । কারণ ইহুদী বা খৃষ্টানদের বলা হয় আহলে কিতাব। 

#ইঞ্জিলে মাত্তায় রয়েছে, হজরত ঈসা (আ.) চল্লিশ দিন জঙ্গলে রোজা রেখেছিলেন। বর্তমানে তার অনুসারীদের একটি অংশ অর্থডিক্স #খ্রিস্টান  চল্লিশ রোজা রাখে। আর ক্যাথলিক ও প্রটেস্টান্ট খ্রিস্টানরা বছরে ১-২টা রোজা রাখে। তারা মনে করেন, চল্লিশ রোজা যিশুখ্রিস্টের জন্য, সাধারণের জন্য নয়। 

#ইহুদিদের রশ হাশানাহতে (নববর্ষ) উপবাসের প্রচলন রয়েছে। এ ছাড়া ইয়ম কিপুর বা প্রায়শ্চিত্তের দিনে সূর্যাস্ত থেকে পরবর্তী দিনের সূর্যাস্ত পর্যন্ত টানা ২৫ ঘণ্টা উপবাস যাপন করে তারা। ইহুদিরা এই দিনটিকে ভাগ্যলিপির দিন হিসেবে বিশ্বাস করে।

#বৌদ্ধধর্মে  ভিক্ষুরা বিনয়নীতি অনুসরণ করেন। সপ্তাহের একটি দিনে অষ্ট-বিধান অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এতে দুপুর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত উপবাসের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া ভগবান গৌতম বুদ্ধ তার সব অনুসারীকে সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য স্বল্পাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

#হিন্দুধর্মকে সনাতন ধর্ম দাবি করা হয়। তাতেও রোজার বিধান রয়েছে। হিন্দু ব্রাহ্মণদের বছরে বিভিন্ন পূজা-পার্বণে তাদের নিয়মানুযায়ী উপবাস-ব্রত পালন করতে হয়। 

#জৈন ধর্মে ধারাবাহিক উপবাস পালনের নিয়ম রয়েছে। তারা চল্লিশ দিন পরপর একটি করে রোজা পালন করে

#শিখ ধর্মে শুধু  স্বাস্থ্য-জনিত উপবাস করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিখরা মনে করে, উপবাসের কোন আত্মিক তৃপ্তি নেই। কারণ, তাদের গুরু গ্রন্থ সাহিবে উল্লেখ রয়েছে, উপবাস কোন আত্মিক সুবিধা বয়ে আনে না।

#বাহাই ধর্মে ১৫-৭০ বছর বয়সী সবার ক্ষেত্রে ২ মার্চ–২০ মার্চ এই ১৯ দিনের উপবাস পালনের বিধান রয়েছে। তবে অসুস্থ, গর্ভবতী নারী, পর্যটক, কঠোর পরিশ্রমকারীদের জন্য এই উপবাসের বিধান শিথিল-যোগ্য।

(সংক্ষিপ্ত)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ