বনি ইসরাইলরা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি অথচ তাদের জন্যই পেরিত হয়েছিল বেহেস্তী খাবার মান্না ওয়া সালওয়া।

 


হযরত
#মুসা আঃ এর সঙ্গী সাথীদের বলা হতো -বনি_ইসরাইল (বা ইসরাইলের বংশধর)।বর্তমানে তারা ইহুদী নামে পরিচিত। এ #বনি_ইসরাইলদের কথা পবিত্র কোরানে এসেছে বহুবার।পৃথিবীতে তাদের বংশেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নবী রাসুল পেরিত হয়েছিল এবং তারা নিছক মত পার্থক্যের কারনে বহু নবী রাসূলকে হত্যা করেছে। জগতে এমন কোন খারাপ কাজ নেই যা তাদের দ্বারা সংঘঠিত হয়নি।তাদের বংশ জন্ম নিয়েছে অনেক নবী রাসুল আবার তাদের ঘরে জন্ম নিয়েছে বর্তমান সময়ের চেয়ে বেশি নিকৃষ্ট নাস্তিক ,কাফের,মুরতাদ পাপিষ্ট। কোরানে একটি সূরা আছৈ বনি ইসরাইলদের নামে। তারাই একমাত্র জাতি-যাদের জন্য বেহেস্ত/আসমান থেকে খাবার প্রেরন করা হয়েছিল।যাকে বলা হয় #মান্নে ওয়া #সালওয়া

সম্পর্কে কোরানে বলা হয়েছে :- আমি তোমাদের ওপর মান্না ও সালওয়া নাজিল করেছি।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৮০) । তাফসীর কারকগন কোরানের আয়াত বিশ্লেষন করে একাধিক মতামত দিয়েছেন এ খাবার সম্পর্কে । কেউ কেউ বলেন এটা ছিল এক ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার যা মাশরুমের মত।কারো কারো মতে এটা ছিল মধু যা রাতে গাছের উপর বৃষ্টির পড়তো সকালে তারা বিভিন্ন বাটি বা বাটখারা নিয়ে সকালে সংগ্রহ করতো। আর সালওয়া ছিল এক ধরনের পাখি যা তারা জবাই করে খেত।আবার কেহ কেহ বলে এটা ছিল এক ধরনের গাছের কষ। যা ছিল মিষ্টি খেলে ক্ষুধা তৃঞ্চা কিছুই থাকতো না। আবার কেহ কেহ বলেন এটা ছিল বরফ যা দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় ধরে পড়তো। তাদের সবার এটা সংগ্রহ করার পর বন্ধ হয়ে যেত।
৪০ বছর পর্যন্ত তাদেরকে এ খাবার দেয়া হয়েছিল #তীহ ময়দানে(ফিলিস্তীন এবং ইরানের মধ্যবর্তী অঞ্চল)
তাদের উপর নির্দেশ ছিল তারা যেন যার যতটুক প্রয়োজন ততটুকু সংগ্রহ করে। অতিরিক্ত যেন কেউ সংগ্রহ না করে এবং কেউ যেন মজুদ না করে।
কিন্তু এক পর্যায়ে দেখা গেল তারা গোপনে এটা মজুদ করা শুরু করে এবং কেউ কেউ এটা খেতে অস্বীকার করে। এরপরে তাদের উপর নেমে আসে আসমানী গজব।তারা চল্লিশ বছর পর্যন্ত তীহ ময়দানে উদভ্রান্তের মত ঘুরতে থাকে।
তাওরাতে এবং কোরআনে এ সম্পর্কে বিষদ বিবরণ দেয়া আছে।
(অসমাপ্ত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ