ফেরাউনের লাস কিভাবে ৩১১৬ বছর ধরে পানিতে অক্ষত ছিল।

 


মানুষ মরে গেলে তার লাস কতদিন অক্ষত থাকে ? ০৩ দিন ০৭ দিন কিংবা সর্বোচ্ছ ০১ মাস। সেটা পানিতে হোক কিংবা মাটিতে।

তবে অলৌকিক ভাবে কিছু কোরানে হাফেজ, মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং সাহাবিদের লাস পাওয়া গিয়েছিল যে গুলো ১০০ বছর পরেও অক্ষত ছিল। এ ঘটনা অবশ্য হাতে গোনা ।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে -ফেরআউনের লাস ৩১১৬ বছর পরেও পচেনি কিংবা গলেনী। নীল নদে তার লাস পাওয়া গিয়েছিল অক্ষত অবস্থায়। কোন মাছে খায়নি -ফুলেও উঠেনি কিংবা পানিতে ভেসেও যায়নি।
এটা কি করে সম্ভব ?
১৮৯৮ সালে যখন মিশরের নীলনদ থেকে ফেরআউনের লাস গবেষণার জন্য ফ্রান্সে নেওয়া হয়। তখন সেখানকার বিজ্ঞানী মরিস বোখারী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন -এটা কি করে সম্ভব ? তিনি বাইবেল খুলেন -ইনজিন খুলেন কিন্তু সেখানে তার লাস সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। এ সময়
একজন মুসলমান তাকে তথ্য দিয়ে জানান -আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থে আল-কোরানে এ ফেরআউন সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বানী করা হয়েছে। মরিস শুনে অবাক হন। ছুটে যান আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে যখন তিনি কোরানের তরজমা বা এ সম্পর্কিত আয়াতের অনুবাদ চান -যখন খুজে পান -
অতএব, আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।”আল-কুরআন; সুরা:১০,আয়াত-৯২
তিনি কুরআন গবেষণা করে দেখেন যে, আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বের কুরআন আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে পুরো সঙ্গতিপূর্ণ।কি আশ্চর্য,কি অবাক করা কথা! কুরআন মহাসত্য। আসমানি কিতাব! তিনি উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করলেন যে, আমি ইসলামে প্রবেশ করেছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ