কোরআনের কোথাও -বর্ণনা নাই যে -
# কি পরিমাণ সম্পদ হলে #যাকাত দিতে হবে।
#নামাজ কত রাকাত পড়তে হবে।
#রোজা কতটি থাকতে হবে।
# #অজু ,#গোসল কিংবা #তায়াম্মুমে কত ফরজ?
এটা এজন্য বলা কিছু কিছু উন্নত মানের গর্ধভ আছে এরা বলে হাদিস মানিনা কোরান মানি। তাদেরকে এবার প্রশ্ন করেন উল্লেখিত প্রশ্ন গুলোর সমাধান খুঁজে দিতে।
আরো একটি আলোচনায় বলেছিলাম রসুলুল্লাহ সঃ এর সহচরদের #সাহাবী বলে। অর্থাৎ যারা সরাসরি নবীকে দেখেছে, তার কথা শুনেছে কিংবা সাথে উঠা বসা করেছে।
আর যারা নবী সঃ কে সরাসরি দেখেনি -শুধু সাহাবীদের দেখেছে তাদেরকে বলা হয় #তাবেয়ী। আর যারা সাহাবীদেরও দেখেনি শুধু তাবেয়ীদের দেখেছে তাদেরকে বলা হয় #তাবে-তাবেয়ী।
খেলাফতের যুগের পরবর্তীতে উমাইয়া শাসনামলে যখন ধর্মীয় বিধান পালনে সমস্যা দেখা দেয়। তখনই হাদিস সংকলনের প্রয়োজনীয়তা প্রকট হয়ে উঠে। কেননা রাসুলের সময় -কোন সমস্যা দেখা দিলে তার সমাধান তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে জীবরাইলের মাধ্যমে জেনে সমাধানের উপায় বলে দিতেন।
নবী সঃ এর ওফাতের পর শীর্ষ সাহাবিরা মজলিশের মাধ্যমে এর সমাধান দিতেন। এ ক্ষেত্রে হযরত ওমর ,আবু বকর, খাদিজা রাঃ ওসমান ,ওমর ইবনে খাত্তাব ,হযরত আয়েশা রাঃ অন্যতম। কিন্তু খেলাফত যুগের পরবর্তীতে হাদীস সংকলনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।
তখন ছয় জন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস দীর্ঘ যাচাই বাচাই সাহাবীদের চরিত্রের বিচার বিশ্লেষণ এবং একাধিক মতের সূত্র ধরে হাদিস সংকলন শুরু করেন। এ গুলোকে বলা হয় ছিয়া ছিত্তা বা ছয়টি হাদিস গ্রন্থ। ইসলামের এমন কোন মৌলিক এবং জটিল বিষয় নেই সেটা ইহলোকিক কিংবা জাগতিক যার স্বপক্ষে কোন হাদিস নেই। সর্বমোট হাদিসের সংখ্যা কত -এটা বলা কঠিন হলেও ২০ হাজারের কাছাকাছি হবে। এখন কেউ যদি সংসদের দাঁড়িয়ে বলে ছিয়া ছিত্তা আমার মুখস্থ তাহলে তার চেয়ে বড় মিথ্যা আর কিছু হবে কিনা আমার জানা নেই। কারণ যারা হাদীস শাস্ত্র নিয়ে পড়াশুনা করেন তাদের বলা হয় মুহাদ্দিস। তাদের পক্ষে ছিয়া ছিত্তার হাদীস মুখস্থ করা সম্ভব হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। কারন কোরান মুখস্থ আছে অনেকের কিন্তু সব হাদীস মুখস্থ আছে এ ধরনের লোকের সংখ্যা খুবই কম।

0 মন্তব্যসমূহ