গাছ লাগালেই যে বৃষ্টি আসবে এ কথা যেমন সত্য নয় -তেমনি দোয়া করলেই বৃষ্টি আসবে এ কথাও সত্য নয়।

গাছ লাগালেই যে বৃষ্টি আসবে এ কথা যেমন সত্য নয় -তেমনি দোয়া করলেই বৃষ্টি আসবে এ কথাও সত্য নয়।
তাহলে যেসব অঞ্চলে গাছ বেশি সেখানে বৃষ্টি হয়না কেন। দোয়া করলেই যে সে দোয়া কবুল হবে এটার গ্যারান্টি কি ?বস্তুত গাছ লাগালে পরিবেশ ঠাণ্ডা থাকে। অক্সিজেন বাড়ে । পাখিদের বিচরণ বাড়ে। পাখিরা ফুল ফল খেতে পারে এতে পরিবেশের ভারসাম্য তৈরি হয়। কিন্তু বেশি গাছে বৃষ্টি হয় একথা ভুল। গাজীপুরের শালনা গিয়ে দেখেন গাছের অভাব নেই । হয়তো গাছের কারণে বৃষ্টি বেশি হতে পারে এটা সত্য। কিন্তু রোদ বৃষ্টি দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত কোন মানুষের হাতে নয়।
কোরান হাদিসের ভাষ্য-নুযায়ী সমাজে যখন পাপের পরিমাণ বেড়ে যায়, অশ্লীলতা সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় , সত্যবাদীরা পালিয়ে বেড়ায় মিথ্যা বাদীদের দৌরাত্ব বাড়ে। স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হয় ,সন্তান মা বাবার অবাধ্য হয়। এতিম অসহায়দের প্রতি মানুষ নির্মম হয়।ঘুষ জেনা ব্যভিচার মানুষ নির্ভয়ে করে বেড়ায়-বিত্তশালীরা গরীবের হক মেরে খেতে শুরু করে কিংবা যাকাত দেয়না -তখনই প্রকৃতির বিচার অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে শুরু হয় অতিবৃষ্টি -অনাবৃষ্টি অগ্নুতপাত খরতাপ ভূমি ধস ইত্যাদি।
একবার চিন্তা করে দেখেন যারা প্রকাশ্যে এসব পাপ করে বেড়াচ্ছে তাদের মধ্যে নুন্যতম অনুতাপ আছে ? তারা কি বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে যায় ? নিজের পাপের জন্য অনুতপ্ত হয় ? তওবা করে নামাজ পড়তে যায় ? উত্তর হবে - জ্বি না।
সেই যারা নিয়মিত মসজিদে যায় নামাজ পড়ে -নিজের পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর করুণা প্রার্থনা করে তাদের বেশির ভাগই বিশ্বাস করে আমি যদি আমার সৃষ্টি কর্তাকে খুশী করতে পারি তাহলে তিনি হয়তো আমার প্রতি তার রহমত বর্ষণ করবেন। কিন্ত বিপরীত চিত্রে দেখেন সমাজে নিকৃষ্টমানুষের দৌরাত্ব কিন্তু থেমে নেই। তাই তাদের কারণে ভালোরাও কষ্ট পাচ্ছে।

কারণ বৃষ্টি বাতাস খরতাপ শুধু এক পক্ষের জন্য না। ভালো হলে মন্দরা যেমন এর সুযোগ পায় তেমনি খারাপ হলে ভালোরাও এর ফল ভোগ করে । এটাই স্বাভাবিক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ