০৪ই আগস্ট শনিবার। রক্তাক্ত লক্ষ্মীপুর।তাহেরের পুত্র টিপুর গুলিতেই নিহত হয় -০৪ ।মোট নিহত -১২।
শনিবার সকাল ১১টায় -আন্দোলন কারীদের সমাবেশ ছিল উত্তর তেমুহনীতে। এটা শুনে তাহেরের নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মীরা সমাবেশ ডাকে সকাল ১০টায় তাও ১০০ গজ দূরত্বে। আন্দোলন কারীরা এ ঘটনা শুনে -তাদের কর্মসূচী পরিবর্তন করে বাগ-বাড়ীতে নিয়ে যান। বর্তমান মেয়র টিপুকে বলেন -লক্ষ্মীপুরে এখন পর্যন্ত তেমন কোন গন্ডগোল হয়নি হতাহতের ঘটনাও ঘটেনী । আপনি এ কর্মসূচী দিতে গেলে রক্তপাত হবে। এটা এ মুহূর্তে না দেওয়াটাই ভালো হবে। টিপু বলে তুমি রাজনীতি বুঝনা মিয়া।
যাইহোক বাগ-বাড়ীতে আন্দোলন কারীদের কর্মীসুচী শুরু হলে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসে -যুবলীগের কর্মীরা যাকে পাচ্ছে তাকে পিটাচ্ছে। এ কথা শুনে সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এরই মধ্যে উত্তর তেমুনী থেকে টিপুর নেতৃত্বে মিছিল এগিয়ে আসে বাগবাড়ীর দিকে। আন্দোলন কারীদের মিটিং ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তারা পিছু হটে ঝুমুরের সামনে আসে। ততক্ষণে মাদামের পুলে এসে তারা গুলি করতে থাকে। এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলন কারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
পুলিশের টহল টিম সেখানে আসলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে পুলিশ বলে -আমরা আপনাদের কোন বাধা দিবনা। আপনাদের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে। আপনারা আপনাদের কাজ করেন। আমরা কোর্টের নিরাপত্তা দিতে আসছি।
ছাত্রদের মনোবল বেড়ে যায়। তারা একত্রিত হয়ে যুবলীগকে ধাওয়া করে।মাদামের পুলে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়। সেখানে আন্দোলনকারীদের একজন নিহত হয়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে শহর ঝুড়ে। ছাত্ররা ভাঙচুর শুরু করে। উত্তরতেমুহনীতে বাপক ভাঙ্গ-চুর হয় ,হোটেল ,পৌরভবন টিপুর স্থাপনা সমূহে ---।
ঘণ্টা দুয়েক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। টিপু তার বাহিনী নিয়ে তাদের বাসার ভেতর চলে যায়। এক পর্যায়ে ছাদের উপর থেকে গুলি আরম্ভ করে। সেখানেই নিহত হয় আরো ০৩ জন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সবাই টিপুর বাড়ী ঘেরাও করে। ভাঙচুর চালায়।এক পর্যায়ে টিপুর গুলি শেষ যায়।সে বাড়ীর গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে গা ঢাকা দেয়।
টিপুর স্ত্রী ও সন্তানরা হাত উচু করে বাড়ী থেকে বের হয়ে আসে। আন্দোলন কারীরা বলে আপনাদের সাথে আমাদের কোন শক্রুতা নেই। আপনারা নিরাপদ। তাদের পৌছে দেয়া হয় থানাতে। অতিউতসাহী যুবলীগ কর্মীরা এ সময় বাড়ী থেকে বের হয়ে আক্রমণ করতে এলে একে একে নিহত হয় ০৭ জন। টিপুর বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। চলে বিকাল ০৪ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। রাত বার টার পরে আর্মি এসে ছাত্রদের অনুরোধ করে -ভেতরে অনেক নারী শিশু আছে এদের জীবন রক্ষা করতে হবে -এরপর ছাত্ররা পিছু হটে। ফায়ার সার্ভিস এসে ভেতর থেকে বের করে ২৭জন নারী পুরুষ (ভাড়াটিয়া /দোকানদার)কে ভেতরে পায় আরো ০১টি একটি লাস। মোট লাসের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২।
যা হয়েছে একমাত্র টিপুর জন্যই। আপনি এরপরও যদি মনে করেন লক্ষীপুরের মানুষ এটা ভুলে যাবে তাহলে ভুল করছন কিন্তু তার অবস্থা এখনও জানা যায়নি। কেউ বলছেন ভারতে পালিয়ে গেছে। কেউ বলছেন কুমিল্লা থেকে বিজিবি তাকে গ্রেফতার করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ