ভৌগলিক অবস্থানের কারনে ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা পর্যন্ত রোজা রাখতে হয় বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের।

 ও আই সির হিসাব মতে পৃথিবীতে মুসলিম দেশের সংখ্যা ৫৭ টি। তবে মুসলিম দেশে হিসাবে স্বীকৃত নয় এমন দেশেও কম বেশ মুসলমান আছে। তাই বলা চলে পৃথিবীর ১০০ টিরও উপরে দেশে আড়াইশো কোটি মুসলমানরা একই নিয়তে এবং নিয়মে রোজা রাখে, আযান দেয় ,নামাজ পড়ে কিংবা ইবাদত করে। তবে ভৌগলিক অবস্থান এবং সূর্যোদয় -সূর্যাস্থের তারতম্য অনুযায়ী সেহরি ও ইফতারে যেমন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তেমনি রোজারও। এ রোজা ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা হয়ে থাকে। যেমন বিষুবরেখার কাছের দেশগুলোতে অল্প সময় রোজা রাখতে হয়। অপরদিকে উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে ঋতুর উপর নির্ভর করে রমজানের সময় ১৭ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে। প্রতিবছর রমজান মাস পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ১০ থেকে ১২ দিন এগিয়ে আসে। এর কারণ, ইসলামি ক্যালেন্ডারে মাসের হিসাব করা হয় হিজরি চান্দ্র-বর্ষ অনুযায়ী। চান্দ্র-বর্ষে একেকটি মাস ২৯ বা ৩০ দিন হয়ে থাকে। অবাক করা বিষয় হলো -ইহৃদী ,খৃষ্টান ,হিন্দু বৌদ্ধ জৈন ,শিখ এবং বাহাই ধর্মের লোকেরাও রোজা রাখে কিন্তু তাদের রোজার ধর্ম বর্ণ গোত্র ভেদে পার্থক্য দেখা যায় এবং তা একেক দেশে একেক রকম কিন্তু মুসলমানদের নামাজে তারতম্য থাকলেও রোজা একই রকম।সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্থ্য পর্যন্ত যাবতীয় আহার এবং পাপাচার থেকে নিজকে -নিজের আত্মাকে বিরত রাখা। নিন্মে কয়েকটি দেশের রোজার সময় তুলে ধরা হলো। গ্রিনল্যান্ডের নুক: ১৬ ঘণ্টা —আইসল্যান্ডের রেকজাভিক: ১৬ ঘণ্টা —ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি: ১৫ ঘণ্টা —নরওয়ের অসলো: ১৫ ঘণ্টা —স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো: ১৫ ঘণ্টা —জার্মানির বার্লিন: ১৫ ঘণ্টা —আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন: ১৫ ঘণ্টা —রাশিয়ার মস্কো: ১৫ ঘণ্টা —নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম: ১৫ ঘণ্টা —পোল্যান্ডের ওয়ারশ: ১৫ ঘণ্টা —কাজাখিস্তানের আস্তানা: ১৫ ঘণ্টা —বেলজিয়ামের ব্রাসেলস: ১৪ ঘণ্টা —যুক্তরাজ্যের লন্ডন: ১৪ ঘণ্টা —সুইজারল্যান্ডের জুরিখ: ১৪ ঘণ্টা —সুইডেনের স্টকহোম: ১৪ ঘণ্টা —রোমানিয়ার বুখারেস্ট: ১৪ ঘণ্টা —বুলগেরিয়ার সোফিয়া: ১৪ ঘণ্টা —ইতালির রোম: ১৪ ঘণ্টা —স্পেনের মাদ্রিদ: ১৪ ঘণ্টা —ফ্রান্সের প্যারিস: ১৪ ঘণ্টা —পর্তুগালের লিসবন: ১৪ ঘণ্টা —তুরস্কের আঙ্কারা: ১৪ ঘণ্টা —কানাডার অটোয়া: ১৪ ঘণ্টা —জাপানের টোকিও: ১৪ ঘণ্টা —চীনের বেইজিং: ১৪ ঘণ্টা —গ্রিসের এথেন্স: ১৪ ঘণ্টা —যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক: ১৪ ঘণ্টা —যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি: ১৪ ঘণ্টা —যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস: ১৪ ঘণ্টা —তিউনিসিয়ার তিউনিস: ১৪ ঘণ্টা —আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স: ১৪ ঘণ্টা —ইরানের তেহরান: ১৪ ঘণ্টা —আফগানিস্তানের কাবুল: ১৪ ঘণ্টা —ভারতের নয়াদিল্লী: ১৪ ঘণ্টা —বাংলাদেশের ঢাকা: ১৪ ঘণ্টা —মরক্কোর রাবাত: ১৪ ঘণ্টা —সিরিয়ার দামেস্ক: ১৪ ঘণ্টা —পাকিস্তানের ইসলামাবাদ: ১৪ ঘণ্টা —ইরাকের বাগদাদ: ১৪ ঘণ্টা —লেবাননের বৈরুত: ১৪ ঘণ্টা —জর্ডানের আম্মান: ১৪ ঘণ্টা —ফিলিস্তিনের গাজা: ১৪ ঘণ্টা —মিসরের কায়রো: ১৪ ঘণ্টা —কাতারের দোহা: ১৩ ঘণ্টা —আরব আমিরাতের দুবাই: ১৩ ঘণ্টা —সুদানের খার্তুম: ১৩ ঘণ্টা —সৌদি আরবের রিয়াদ: ১৩ ঘণ্টা —শ্রীলঙ্কার কলম্বো: ১৩ ঘণ্টা —মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর: ১৩ ঘণ্টা —সোমালিয়ার মোগাদিসু: ১৩ ঘণ্টা —কেনিয়ার নাইরোবি: ১৩ ঘণ্টা —জিম্বাবুয়ের হারারে: ১৩ ঘণ্টা —ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা: ১৩ ঘণ্টা —থাইল্যান্ডের ব্যাংকক: ১৩ ঘণ্টা —ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া: ১৩ ঘণ্টা —দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ: ১৩ ঘণ্টা —অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা: ১৩ ঘণ্টা —নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট-চার্চ: ১৩ ঘণ্টা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ